ময়মনসিংহ ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে তীব্র শীতে নষ্ট হচ্ছে বোরোর বীজতলা

ছবি: প্রতিদিনের ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ: সারা দেশের ন্যায় শেরপুর জেলায়ও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এতে নানা সংকটে পড়েছেন কৃষকরা। অতিরিক্ত ঠান্ডা ও কুয়াশায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা। অনেক স্থানেই বীজতলা একধরনের ছত্রাকে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে চারার বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

শীতের কারণে মাঠে কাজ করতে পারছে না কৃষক। দেখা দিয়েছে কৃষি শ্রমিকের সঙ্কট। ফলে পিছিয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের আবাদ। 

চলতি মৌসুমে শেরপুর জেলায় ৯১ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এজন্য ৪ হাজার ৮৯৯ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় পৌনে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ শেষ হয়েছে।

চরশেরপুরের কৃষক নাজির আহমেদ বলেন, ‘শীতে চারা নষ্ট হয়ে যাইতাছেগা। জমি নাগাবার পাইতাছি না। নামলে বাতে জমিতে বোরোধান লাগাইলে কাটার সময় তো রিক্সের মধ্যে পইড়া জামুগা।’

পরানপুরের কৃষক ফজলুল হক বলেন, ‘আমন ধান কাইটা সরিষার আবাদ করছি। সরিষা তুইলা বোরোধান চাষ করমু। কিন্তু জালা (চারা) নষ্ট হইয়া যাইতাছেগা। কীটনাশক দিতাছি, সেচ দিতাছি কোনো কামই হইতাছে না। এবার বোরো ফসল করমু কেমনে।’ 

এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছত্রাকনাশক কীটনাশক ছিটানোর জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর বীজতলায় সন্ধ্যায় সেচ দিয়ে সকালে নিয়মিত পানি বের করে দেওয়াসহ নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে আমাদের লোকজন।’

শেরপুরে তীব্র শীতে নষ্ট হচ্ছে বোরোর বীজতলা

প্রকাশের সময়: ০২:১০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

ময়মনসিংহ: সারা দেশের ন্যায় শেরপুর জেলায়ও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এতে নানা সংকটে পড়েছেন কৃষকরা। অতিরিক্ত ঠান্ডা ও কুয়াশায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা। অনেক স্থানেই বীজতলা একধরনের ছত্রাকে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে চারার বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

শীতের কারণে মাঠে কাজ করতে পারছে না কৃষক। দেখা দিয়েছে কৃষি শ্রমিকের সঙ্কট। ফলে পিছিয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের আবাদ। 

চলতি মৌসুমে শেরপুর জেলায় ৯১ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এজন্য ৪ হাজার ৮৯৯ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় পৌনে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ শেষ হয়েছে।

চরশেরপুরের কৃষক নাজির আহমেদ বলেন, ‘শীতে চারা নষ্ট হয়ে যাইতাছেগা। জমি নাগাবার পাইতাছি না। নামলে বাতে জমিতে বোরোধান লাগাইলে কাটার সময় তো রিক্সের মধ্যে পইড়া জামুগা।’

পরানপুরের কৃষক ফজলুল হক বলেন, ‘আমন ধান কাইটা সরিষার আবাদ করছি। সরিষা তুইলা বোরোধান চাষ করমু। কিন্তু জালা (চারা) নষ্ট হইয়া যাইতাছেগা। কীটনাশক দিতাছি, সেচ দিতাছি কোনো কামই হইতাছে না। এবার বোরো ফসল করমু কেমনে।’ 

এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছত্রাকনাশক কীটনাশক ছিটানোর জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর বীজতলায় সন্ধ্যায় সেচ দিয়ে সকালে নিয়মিত পানি বের করে দেওয়াসহ নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে আমাদের লোকজন।’