ময়মনসিংহ ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কানাডায় মন্দিরে হামলা, নাগরিকদের নিয়ে ‘শঙ্কিত’ ভারত

কানাডায় টরন্টোর কাছে এবার এক হিন্দু মন্দির ও সেখানে উপস্থিত ভক্তদের ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটিতে অবস্থানরত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারত। খবর এনডিটিভির।

এক্স বার্তায় ভারতীয় হাই কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গোটা ঘটনাটি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা ভেবেও আমরা শঙ্কিত। কনসুলেটের ক্যাম্পে এভাবে হামলা হওয়াটা অত্যন্ত হতাশাজনক।

এর আগে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সোমবার মন্দিরে সহিংসতাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

ব্র্যাম্পটনের ওই হিন্দু সভা মন্দিরে সংঘর্ষের পর ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনার জন্য কিছু নেতারা শিখ কর্মীদের দোষারোপ করেছেন। সংঘর্ষের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কিছু পুরুষ মন্দিরের গেট ভেঙে ভক্তদের ওপর হামলা চালায়।

পিল আঞ্চলিক পুলিশের একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। পুলিশও এ সহিংসতার জন্য কারও ওপর দোষারোপ করা থেকে বিরত থেকেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ট্রুডোর লিবারেল পার্টির এই সদস্য লিখেছেন, চরমপন্থিরা কানাডার রাজনৈতিক কাঠামো ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোতে প্রবেশ করেছে। তিনি আরও লিখেছেন, আমাদের সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য, হিন্দু-কানাডিয়ানদের এগিয়ে আসতে হবে এবং তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করতে হবে এবং রাজনীতিবিদদের জবাবদিহি করতে হবে।

ব্র্যাম্পটনের মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন দোষীদের জন্য ‘আইনের সর্বোচ্চ সীমার মধ্যে শাস্তি’ দাবি করেছেন।

টরন্টোর এমপি কেভিন ভুয়ং দাবি করেন, কানাডা এখন উগ্রপন্থিদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমাদের নেতারা হিন্দুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমাদের সবারই শান্তিতে উপাসনা করার অধিকার আছে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

বিষয়:

কানাডায় মন্দিরে হামলা, নাগরিকদের নিয়ে ‘শঙ্কিত’ ভারত

প্রকাশের সময়: ১০:৫২:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

কানাডায় টরন্টোর কাছে এবার এক হিন্দু মন্দির ও সেখানে উপস্থিত ভক্তদের ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটিতে অবস্থানরত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারত। খবর এনডিটিভির।

এক্স বার্তায় ভারতীয় হাই কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গোটা ঘটনাটি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা ভেবেও আমরা শঙ্কিত। কনসুলেটের ক্যাম্পে এভাবে হামলা হওয়াটা অত্যন্ত হতাশাজনক।

এর আগে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সোমবার মন্দিরে সহিংসতাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

ব্র্যাম্পটনের ওই হিন্দু সভা মন্দিরে সংঘর্ষের পর ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনার জন্য কিছু নেতারা শিখ কর্মীদের দোষারোপ করেছেন। সংঘর্ষের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কিছু পুরুষ মন্দিরের গেট ভেঙে ভক্তদের ওপর হামলা চালায়।

পিল আঞ্চলিক পুলিশের একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। পুলিশও এ সহিংসতার জন্য কারও ওপর দোষারোপ করা থেকে বিরত থেকেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ট্রুডোর লিবারেল পার্টির এই সদস্য লিখেছেন, চরমপন্থিরা কানাডার রাজনৈতিক কাঠামো ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোতে প্রবেশ করেছে। তিনি আরও লিখেছেন, আমাদের সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য, হিন্দু-কানাডিয়ানদের এগিয়ে আসতে হবে এবং তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করতে হবে এবং রাজনীতিবিদদের জবাবদিহি করতে হবে।

ব্র্যাম্পটনের মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন দোষীদের জন্য ‘আইনের সর্বোচ্চ সীমার মধ্যে শাস্তি’ দাবি করেছেন।

টরন্টোর এমপি কেভিন ভুয়ং দাবি করেন, কানাডা এখন উগ্রপন্থিদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমাদের নেতারা হিন্দুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমাদের সবারই শান্তিতে উপাসনা করার অধিকার আছে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক