ময়মনসিংহ ০৪:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিরক্ষা সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি সেনাকর্তা

ভারত আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার আলোচনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে চলেছে, কারণ ভারতের ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফের চিফ (সিআইএসসি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেপি ম্যাথিউ হাওয়াইয়ে অনুষ্ঠিত ইন্দো-প্যাসিফিক চিফস অফ ডিফেন্স (আইপি-সিএইচওডি) সম্মেলনে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করছেন। ১৮-২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত চলমান এই সম্মেলনে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শীর্ষ সামরিক নেতাদের একত্রিত করা হয়েছে, যার লক্ষ্য যৌথ নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ এবং সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি।

আইপি-সিএইচওডি সম্মেলন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ফোরামগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে পরিচিত, যা এই অঞ্চলের কয়েকটি গুরুতর নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। এই সম্মেলনটি প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় এবং ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড (ইউএসইনডোপ্যাকোম) দ্বারা পরিচালিত হয়, যেখানে সামরিক নেতারা খোলামেলা আলোচনা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

এই বছরের সম্মেলনে ২৮টি দেশ বা আন্তর্জাতিক সংগঠন অংশ নিচ্ছে, যা ১৯৯৮ সাল থেকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শীর্ষ সামরিক নেতাদের একত্রিত করে সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

২০২৪ সালের সম্মেলনের মূল বিষয়বস্তু হলো “ভবিষ্যৎ ইন্দো-প্যাসিফিক: একটি শক্তিশালী ও আন্তঃসংযুক্ত অঞ্চল গঠন”। আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম, সমুদ্র নিরাপত্তা সচেতনতা, এবং সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে।

আঞ্চলিক নিরাপত্তা: ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সমুদ্রপথকে অন্তর্ভুক্ত করে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্য এবং সামরিক কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা এবং আঞ্চলিক বিরোধের প্রেক্ষিতে, এই অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবার জন্য অগ্রাধিকার। লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেপি ম্যাথিউর অংশগ্রহণ ভারতের আঞ্চলিক শান্তি এবং সামুদ্রিক আইন মেনে চলার দৃঢ় অবস্থানকে প্রতিফলিত করে।

সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম: সন্ত্রাসবাদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে হুমকি দিচ্ছে। সম্মেলনটি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথ পদক্ষেপ এবং গোয়েন্দা বিনিময়ের উপায় নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ দিচ্ছে। সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে ভারতের অভিজ্ঞতা এই আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।

সমুদ্র নিরাপত্তা সচেতনতা: সম্মেলনের একটি প্রধান আলোচনার বিষয় হলো সমুদ্র নিরাপত্তা সচেতনতা, যা ভারতের মতো দেশগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্মেলনে এই বিষয়ে যৌথ প্রচেষ্টা বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

যৌথ সামরিক মহড়া: সম্মেলনে সামরিক মহড়া এবং প্রশিক্ষণ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, যেখানে ভারত নিয়মিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার সাথে যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। ভারতের অংশগ্রহণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তার অঙ্গীকারকে তুলে ধরেছে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

বিষয়:

ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিরক্ষা সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি সেনাকর্তা

প্রকাশের সময়: ০৯:১৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারত আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার আলোচনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে চলেছে, কারণ ভারতের ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফের চিফ (সিআইএসসি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেপি ম্যাথিউ হাওয়াইয়ে অনুষ্ঠিত ইন্দো-প্যাসিফিক চিফস অফ ডিফেন্স (আইপি-সিএইচওডি) সম্মেলনে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করছেন। ১৮-২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত চলমান এই সম্মেলনে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শীর্ষ সামরিক নেতাদের একত্রিত করা হয়েছে, যার লক্ষ্য যৌথ নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ এবং সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি।

আইপি-সিএইচওডি সম্মেলন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ফোরামগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে পরিচিত, যা এই অঞ্চলের কয়েকটি গুরুতর নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। এই সম্মেলনটি প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় এবং ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড (ইউএসইনডোপ্যাকোম) দ্বারা পরিচালিত হয়, যেখানে সামরিক নেতারা খোলামেলা আলোচনা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

এই বছরের সম্মেলনে ২৮টি দেশ বা আন্তর্জাতিক সংগঠন অংশ নিচ্ছে, যা ১৯৯৮ সাল থেকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শীর্ষ সামরিক নেতাদের একত্রিত করে সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

২০২৪ সালের সম্মেলনের মূল বিষয়বস্তু হলো “ভবিষ্যৎ ইন্দো-প্যাসিফিক: একটি শক্তিশালী ও আন্তঃসংযুক্ত অঞ্চল গঠন”। আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম, সমুদ্র নিরাপত্তা সচেতনতা, এবং সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে।

আঞ্চলিক নিরাপত্তা: ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সমুদ্রপথকে অন্তর্ভুক্ত করে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্য এবং সামরিক কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা এবং আঞ্চলিক বিরোধের প্রেক্ষিতে, এই অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবার জন্য অগ্রাধিকার। লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেপি ম্যাথিউর অংশগ্রহণ ভারতের আঞ্চলিক শান্তি এবং সামুদ্রিক আইন মেনে চলার দৃঢ় অবস্থানকে প্রতিফলিত করে।

সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম: সন্ত্রাসবাদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে হুমকি দিচ্ছে। সম্মেলনটি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথ পদক্ষেপ এবং গোয়েন্দা বিনিময়ের উপায় নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ দিচ্ছে। সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে ভারতের অভিজ্ঞতা এই আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।

সমুদ্র নিরাপত্তা সচেতনতা: সম্মেলনের একটি প্রধান আলোচনার বিষয় হলো সমুদ্র নিরাপত্তা সচেতনতা, যা ভারতের মতো দেশগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্মেলনে এই বিষয়ে যৌথ প্রচেষ্টা বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

যৌথ সামরিক মহড়া: সম্মেলনে সামরিক মহড়া এবং প্রশিক্ষণ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, যেখানে ভারত নিয়মিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার সাথে যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। ভারতের অংশগ্রহণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তার অঙ্গীকারকে তুলে ধরেছে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক