ময়মনসিংহ ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত-ইউকে প্রযুক্তি নিরাপত্তা উদ্যোগের আদ্যোপান্ত

বাণিজ্য নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতে গেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। এই সফরে তিনি ভারতের কয়েক মন্ত্রী ও ব্যবসায়িক নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন। ভারত ও বৈশ্বিক দক্ষিণের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক নতুন করে শুরু করার উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে এই সফরকে। গতকাল এক প্রতিবেদনে এ খবর দেয় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ল্যামি ভারতকে যুক্তরাজ্যের ‘অপরিহার্য মিত্র’ বলে অভিহিত করেছেন। অর্থনীতিতে সমৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রতিরোধে ভারতের সাফল্যের প্রশংসা করেছেন তিনি। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের লেবার সরকার এই দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার ব্যাপারে বেশ আগ্রহী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যামির এই সফরের উদ্দেশ্যও এ ধরনের চুক্তি।

মাত্র তিন সপ্তাহ আগে যুক্তরাজ্যে নতুন সরকার গঠন করেছে স্যার কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন দল লেবার। বিবিসি বলেছে, এই অল্প সময়ের মধ্যেই ভারতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাঠানোর মধ্য দিয়ে দেশটিকে যে তারা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে, তা প্রতীয়মান হয়। লেবার যদি প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে চায়, তা হলে ভারতের সঙ্গে আরও বেশি বাণিজ্য করতে হবে।

উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য যুক্তরাজ্য প্রায় দুই বছর ধরেই চেষ্টা করছে। ভারত গত মার্চে নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও আইসল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করেছে। এসব দেশ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত নয়। এদিকে, এই মাসের শুরুতে ল্যামি তার প্রথম বিদেশ সফরের অংশ হিসেবে ইউরোপ সফর করেছেন। ওই সফরে তিনি বেশ কয়েক ইউরোপীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক জোরদার করতে তিনি ওই সফর করেন।

তবে তার চলমান ভারত সফর অর্থনীতির চেয়েও বেশি কিছু বলে ধরা হচ্ছে। কারণ বৈশ্বিক দক্ষিণে ভারত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। ল্যাম বলেছেন, তিনি এই অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক নতুন করে শুরু করতে চান।

এছাড়া, সাতটি বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ পূর্বক ভারত-ইউকে প্রযুক্তি নিরাপত্তা উদ্যোগ আরম্ভ হয়েছে। ভারত ও যুক্তরাজ্য উভয় দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাগণ এই যৌথ প্রযুক্তি নিরাপত্তা উদ্যোগের সমন্বয় করবেন। সেগুলো যথাক্রমে, টেলিকম, খনিজ, সেমিকন্ডাক্টর, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, কোয়ান্টাম, বায়োটেকনোলজি এবং হেলথটেক; এবং, উন্নত উপকরণ ইত্যাদি। গতকাল এই বিষয়েও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক  

বিষয়:

ভারত-ইউকে প্রযুক্তি নিরাপত্তা উদ্যোগের আদ্যোপান্ত

প্রকাশের সময়: ১০:২৪:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

বাণিজ্য নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতে গেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। এই সফরে তিনি ভারতের কয়েক মন্ত্রী ও ব্যবসায়িক নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন। ভারত ও বৈশ্বিক দক্ষিণের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক নতুন করে শুরু করার উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে এই সফরকে। গতকাল এক প্রতিবেদনে এ খবর দেয় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ল্যামি ভারতকে যুক্তরাজ্যের ‘অপরিহার্য মিত্র’ বলে অভিহিত করেছেন। অর্থনীতিতে সমৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রতিরোধে ভারতের সাফল্যের প্রশংসা করেছেন তিনি। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের লেবার সরকার এই দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার ব্যাপারে বেশ আগ্রহী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যামির এই সফরের উদ্দেশ্যও এ ধরনের চুক্তি।

মাত্র তিন সপ্তাহ আগে যুক্তরাজ্যে নতুন সরকার গঠন করেছে স্যার কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন দল লেবার। বিবিসি বলেছে, এই অল্প সময়ের মধ্যেই ভারতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাঠানোর মধ্য দিয়ে দেশটিকে যে তারা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে, তা প্রতীয়মান হয়। লেবার যদি প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে চায়, তা হলে ভারতের সঙ্গে আরও বেশি বাণিজ্য করতে হবে।

উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য যুক্তরাজ্য প্রায় দুই বছর ধরেই চেষ্টা করছে। ভারত গত মার্চে নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও আইসল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করেছে। এসব দেশ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত নয়। এদিকে, এই মাসের শুরুতে ল্যামি তার প্রথম বিদেশ সফরের অংশ হিসেবে ইউরোপ সফর করেছেন। ওই সফরে তিনি বেশ কয়েক ইউরোপীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক জোরদার করতে তিনি ওই সফর করেন।

তবে তার চলমান ভারত সফর অর্থনীতির চেয়েও বেশি কিছু বলে ধরা হচ্ছে। কারণ বৈশ্বিক দক্ষিণে ভারত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। ল্যাম বলেছেন, তিনি এই অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক নতুন করে শুরু করতে চান।

এছাড়া, সাতটি বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ পূর্বক ভারত-ইউকে প্রযুক্তি নিরাপত্তা উদ্যোগ আরম্ভ হয়েছে। ভারত ও যুক্তরাজ্য উভয় দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাগণ এই যৌথ প্রযুক্তি নিরাপত্তা উদ্যোগের সমন্বয় করবেন। সেগুলো যথাক্রমে, টেলিকম, খনিজ, সেমিকন্ডাক্টর, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, কোয়ান্টাম, বায়োটেকনোলজি এবং হেলথটেক; এবং, উন্নত উপকরণ ইত্যাদি। গতকাল এই বিষয়েও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক