ময়মনসিংহ ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যৌথ মহড়া শুরু ভারত-ইন্দোনেশিয়ার বিশেষ বাহিনীর

আন্তর্জাতিক সামরিক সহযোগিতার শক্তিশালী প্রদর্শনীতে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষ বাহিনীর একটি দল, যাদের মধ্যে প্যারা রেজিমেন্টের ২৫ জন সদস্য রয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার সিজান্তুং, জাকার্তায় পৌঁছেছে। তারা ভারত-ইন্দোনেশিয়া যৌথ বিশেষ বাহিনী অনুশীলন গরুড় শক্তি ২৪-এর নবম সংস্করণে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত। এই উচ্চ-পর্যায়ের অনুশীলনটি ১ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত চলবে, যা দুই দেশের অভিজাত বাহিনীগুলোর মধ্যে আরও গভীর সম্পর্ক ও পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।

ইন্দোনেশিয়ার বিশেষ বাহিনী, যা কোপাসাস নামে পরিচিত, ৪০ জন সদস্য নিয়ে এই অনুশীলনে অংশ নেবে। এতে জঙ্গলযুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কৌশল এবং কৌশলগত অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই অনুশীলনের প্রধান লক্ষ্য হল উভয় দেশের বিশেষ বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, সহযোগিতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি করা। ইনটেনসিভ ট্রেনিং এবং যৌথ অপারেশনের মাধ্যমে, উভয় বাহিনী একে অপরের কৌশল এবং পদ্ধতির ওপর গভীর ধারণা লাভ করবে, যা ভবিষ্যতের যৌথ মিশনের জন্য তাদের প্রস্তুত করতে সহায়ক হবে।

দুই দেশ তাদের কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে দীর্ঘদিন ধরে মূল্য দিয়ে আসছে এবং ‘গরুড় শক্তি’ অনুশীলনটি এই সম্পর্কের প্রতি তাদের বার্ষিক প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে। আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া এই অংশীদারিত্বকে সন্ত্রাসবাদ ও বিদ্রোহ দমনসহ সাধারণ হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে অপরিহার্য মনে করে। এই অনুশীলনের সময় হওয়া যৌথ প্রশিক্ষণ ও কৌশলগত মহড়াগুলি ভবিষ্যতের যৌথ মিশনের জন্য একটি দৃঢ় কাঠামো তৈরি করতে এবং উভয় বাহিনীর প্রযুক্তি ও কার্যক্ষমতার সমন্বয় সাধন করতে সহায়ক হবে।

প্রশিক্ষণের মডিউল: জঙ্গলযুদ্ধ, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম ও কৌশলগত অনুশীলন গরুড় শক্তি ২৪-এর প্রশিক্ষণসূচি আধুনিক বিশেষ অপারেশনের সকল দিককে কভার করার জন্য উচ্চাভিলাষী ও ব্যাপক। জঙ্গলযুদ্ধ প্রশিক্ষণ, যা উভয় দেশের ঘন বনাঞ্চলে বিদ্যমান কৌশলগত গুরুত্বে পরিচালিত, এই অনুশীলনের মূল অংশ হিসেবে রয়েছে। উভয় বাহিনীর সৈনিকরা গোপনীয়তা, গমনাগমন এবং এমন এলাকায় নিখুঁত কার্যক্ষমতার ওপর প্রশিক্ষণ নেবে, যা প্রায়শই বিদ্রোহী কার্যক্রমের আশ্রয়স্থল হয়ে থাকে।

সন্ত্রাসবিরোধী প্রশিক্ষণও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে সন্ত্রাসীদের আস্তানা ও ক্যাম্পে আক্রমণের মহড়া অনুশীলন করা হবে। এতে সৈনিকরা দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং নিখুঁত হামলা পরিচালনার দক্ষতা অর্জন করবে, যা বাস্তব পরিস্থিতিতে কার্যকর প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করবে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ দমনে সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কার্যকর ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা রয়েছে।

উন্নত বিশেষ বাহিনীর দক্ষতা ও কৌশলগত উদ্ভাবনের ওপর জোর এই অনুশীলনে বিশেষ বাহিনীর উন্নত দক্ষতা বিকাশের জন্য বেশ কিছু সেশন রাখা হয়েছে, যেখানে অস্ত্র, সরঞ্জাম উদ্ভাবন এবং সর্বশেষ কৌশলগত পদ্ধতি শেয়ার করা হবে। এই তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় বাহিনী একে অপরের কার্যক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা পাবে এবং তাদের দক্ষতা আরও প্রসারিত করবে।

রক্ষানীতি প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনশীল দুনিয়ায়, এমন জ্ঞান-বিনিময়মূলক অনুশীলন বাহিনীকে কৌশলগত দক্ষতায় আপডেট রাখতে সহায়ক। প্যারা রেজিমেন্ট ও কোপাসাস সদস্যরা উচ্চ-উচ্চতায় প্যারাসুটিং, ঘনিষ্ঠ যুদ্ধ এবং শহুরে যুদ্ধের কৌশলগুলোর ওপর যৌথভাবে অনুশীলন করবে। প্রশিক্ষণের এই অংশটি একটি সত্যিকারের কর্মক্ষেত্রে তাদের যৌথ প্রস্তুতির একটি অগ্রণী ধাপ হিসেবে দেখা হয়।

গরুড় শক্তি ২৪-এর বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হলো সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ওপর জোর দেওয়া। উভয় পক্ষই একে অপরের ঐতিহ্য, দৈনন্দিন রুটিন এবং সামাজিক প্রথা সম্পর্কে ধারণা লাভ করবে, যা যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরেও বিশ্বাস ও সহযোগিতা গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়ার পরিবেশ তৈরি করে, এই অনুশীলন শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের সীমা পেরিয়ে একটি প্রকৃত সম্পর্ক গড়ার সুযোগ সৃষ্টি করছে।

আঞ্চলিক নিরাপত্তার লক্ষ্য অর্জনে যৌথ প্রচেষ্টা গরুড় শক্তি ২৪ শুধুমাত্র বার্ষিক প্রশিক্ষণ অনুশীলন নয়, এটি ক্রমবর্ধমান জটিল ভূরাজনৈতিক পরিবেশে যৌথ নিরাপত্তা লক্ষ্য অর্জনের একটি কৌশলগত প্রচেষ্টা। ভারত ও ইন্দোনেশিয়া আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষায় একটি সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছে এবং গরুড় শক্তির মতো অনুশীলনগুলি ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

উভয় দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই অংশীদারিত্বের ব্যাপারে আশাবাদী যে এটি তাদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং সমগ্র অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবে। এই ধরনের যৌথ অনুশীলনগুলি ভবিষ্যতে আঞ্চলিক সামরিক সহযোগিতার মডেল এবং উদীয়মান হুমকিগুলোর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

বিষয়:

যৌথ মহড়া শুরু ভারত-ইন্দোনেশিয়ার বিশেষ বাহিনীর

প্রকাশের সময়: ০২:১০:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক সামরিক সহযোগিতার শক্তিশালী প্রদর্শনীতে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষ বাহিনীর একটি দল, যাদের মধ্যে প্যারা রেজিমেন্টের ২৫ জন সদস্য রয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার সিজান্তুং, জাকার্তায় পৌঁছেছে। তারা ভারত-ইন্দোনেশিয়া যৌথ বিশেষ বাহিনী অনুশীলন গরুড় শক্তি ২৪-এর নবম সংস্করণে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত। এই উচ্চ-পর্যায়ের অনুশীলনটি ১ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত চলবে, যা দুই দেশের অভিজাত বাহিনীগুলোর মধ্যে আরও গভীর সম্পর্ক ও পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।

ইন্দোনেশিয়ার বিশেষ বাহিনী, যা কোপাসাস নামে পরিচিত, ৪০ জন সদস্য নিয়ে এই অনুশীলনে অংশ নেবে। এতে জঙ্গলযুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কৌশল এবং কৌশলগত অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই অনুশীলনের প্রধান লক্ষ্য হল উভয় দেশের বিশেষ বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, সহযোগিতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি করা। ইনটেনসিভ ট্রেনিং এবং যৌথ অপারেশনের মাধ্যমে, উভয় বাহিনী একে অপরের কৌশল এবং পদ্ধতির ওপর গভীর ধারণা লাভ করবে, যা ভবিষ্যতের যৌথ মিশনের জন্য তাদের প্রস্তুত করতে সহায়ক হবে।

দুই দেশ তাদের কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে দীর্ঘদিন ধরে মূল্য দিয়ে আসছে এবং ‘গরুড় শক্তি’ অনুশীলনটি এই সম্পর্কের প্রতি তাদের বার্ষিক প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে। আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া এই অংশীদারিত্বকে সন্ত্রাসবাদ ও বিদ্রোহ দমনসহ সাধারণ হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে অপরিহার্য মনে করে। এই অনুশীলনের সময় হওয়া যৌথ প্রশিক্ষণ ও কৌশলগত মহড়াগুলি ভবিষ্যতের যৌথ মিশনের জন্য একটি দৃঢ় কাঠামো তৈরি করতে এবং উভয় বাহিনীর প্রযুক্তি ও কার্যক্ষমতার সমন্বয় সাধন করতে সহায়ক হবে।

প্রশিক্ষণের মডিউল: জঙ্গলযুদ্ধ, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম ও কৌশলগত অনুশীলন গরুড় শক্তি ২৪-এর প্রশিক্ষণসূচি আধুনিক বিশেষ অপারেশনের সকল দিককে কভার করার জন্য উচ্চাভিলাষী ও ব্যাপক। জঙ্গলযুদ্ধ প্রশিক্ষণ, যা উভয় দেশের ঘন বনাঞ্চলে বিদ্যমান কৌশলগত গুরুত্বে পরিচালিত, এই অনুশীলনের মূল অংশ হিসেবে রয়েছে। উভয় বাহিনীর সৈনিকরা গোপনীয়তা, গমনাগমন এবং এমন এলাকায় নিখুঁত কার্যক্ষমতার ওপর প্রশিক্ষণ নেবে, যা প্রায়শই বিদ্রোহী কার্যক্রমের আশ্রয়স্থল হয়ে থাকে।

সন্ত্রাসবিরোধী প্রশিক্ষণও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে সন্ত্রাসীদের আস্তানা ও ক্যাম্পে আক্রমণের মহড়া অনুশীলন করা হবে। এতে সৈনিকরা দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং নিখুঁত হামলা পরিচালনার দক্ষতা অর্জন করবে, যা বাস্তব পরিস্থিতিতে কার্যকর প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করবে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ দমনে সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কার্যকর ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা রয়েছে।

উন্নত বিশেষ বাহিনীর দক্ষতা ও কৌশলগত উদ্ভাবনের ওপর জোর এই অনুশীলনে বিশেষ বাহিনীর উন্নত দক্ষতা বিকাশের জন্য বেশ কিছু সেশন রাখা হয়েছে, যেখানে অস্ত্র, সরঞ্জাম উদ্ভাবন এবং সর্বশেষ কৌশলগত পদ্ধতি শেয়ার করা হবে। এই তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় বাহিনী একে অপরের কার্যক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা পাবে এবং তাদের দক্ষতা আরও প্রসারিত করবে।

রক্ষানীতি প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনশীল দুনিয়ায়, এমন জ্ঞান-বিনিময়মূলক অনুশীলন বাহিনীকে কৌশলগত দক্ষতায় আপডেট রাখতে সহায়ক। প্যারা রেজিমেন্ট ও কোপাসাস সদস্যরা উচ্চ-উচ্চতায় প্যারাসুটিং, ঘনিষ্ঠ যুদ্ধ এবং শহুরে যুদ্ধের কৌশলগুলোর ওপর যৌথভাবে অনুশীলন করবে। প্রশিক্ষণের এই অংশটি একটি সত্যিকারের কর্মক্ষেত্রে তাদের যৌথ প্রস্তুতির একটি অগ্রণী ধাপ হিসেবে দেখা হয়।

গরুড় শক্তি ২৪-এর বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হলো সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ওপর জোর দেওয়া। উভয় পক্ষই একে অপরের ঐতিহ্য, দৈনন্দিন রুটিন এবং সামাজিক প্রথা সম্পর্কে ধারণা লাভ করবে, যা যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরেও বিশ্বাস ও সহযোগিতা গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়ার পরিবেশ তৈরি করে, এই অনুশীলন শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের সীমা পেরিয়ে একটি প্রকৃত সম্পর্ক গড়ার সুযোগ সৃষ্টি করছে।

আঞ্চলিক নিরাপত্তার লক্ষ্য অর্জনে যৌথ প্রচেষ্টা গরুড় শক্তি ২৪ শুধুমাত্র বার্ষিক প্রশিক্ষণ অনুশীলন নয়, এটি ক্রমবর্ধমান জটিল ভূরাজনৈতিক পরিবেশে যৌথ নিরাপত্তা লক্ষ্য অর্জনের একটি কৌশলগত প্রচেষ্টা। ভারত ও ইন্দোনেশিয়া আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষায় একটি সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছে এবং গরুড় শক্তির মতো অনুশীলনগুলি ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

উভয় দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই অংশীদারিত্বের ব্যাপারে আশাবাদী যে এটি তাদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং সমগ্র অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবে। এই ধরনের যৌথ অনুশীলনগুলি ভবিষ্যতে আঞ্চলিক সামরিক সহযোগিতার মডেল এবং উদীয়মান হুমকিগুলোর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক