ময়মনসিংহ ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৌশলগত সফরে জাপান গেলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান

ভারত ও জাপানের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সোমবার (১৪ অক্টোবর, ২০২৪) চার দিনের সরকারি সফরে জাপানের টোকিওতে পৌঁছেছেন। এই সফর ১৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এবং এর মাধ্যমে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করা এবং দুই দেশের মধ্যে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র অনুসন্ধান করা হবে।

জেনারেল দ্বিবেদীর জাপান সফর এমন সময়ে হচ্ছে যখন আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ বাড়ছে এবং ভারত-জাপান সম্পর্কের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে। সফরে সামরিক সংলাপ, যৌথ প্রশিক্ষণ প্রচেষ্টা এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে, যা দুই দেশের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করবে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর এই সফরের লক্ষ্য ভারতের এবং জাপানের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা আরও মজবুত করা এবং দুই দেশের মধ্যে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র অন্বেষণ করা।”

প্রথম দিন: কূটনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করা

সফরের প্রথম দিনে, জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী টোকিওতে অবস্থিত ভারতের রাষ্ট্রদূত সিবি জর্জের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তাঁরা ভারত-জাপান সম্পর্কের পরিবর্তিত গতিশীলতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সম্পর্কে আলোচনা করবেন। এই বৈঠকটি জেনারেল দ্বিবেদীর জাপানি নেতৃত্বের সঙ্গে পরবর্তী সাক্ষাৎগুলোর জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা সফরের কূটনৈতিক লক্ষ্যগুলিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

জেনারেল দ্বিবেদীর এই সফর ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান ভূমিকার ওপর আলোকপাত করে, যেখানে জাপান একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আলোচনায় সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা কৌশলগুলির মতো অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়গুলিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

দ্বিতীয় দিন: উচ্চ পর্যায়ের সামরিক সংলাপ

১৫ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে, ভারতীয় সেনাপ্রধান জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইচিগায়াতে উচ্চ পর্যায়ের সামরিক আলোচনায় অংশ নেবেন। দিনটির এজেন্ডায় জাপানের সিনিয়র সামরিক নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যার মধ্যে রয়েছেন জাপানের যৌথ স্ব-প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল ইয়োশিদা ইয়োশিহিদে এবং জাপানের স্থল স্ব-প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল মরিশিতা ইয়াসুনোরি। এছাড়াও, তিনি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও ক্রয়ের জন্য দায়ী এজেন্সির প্রধান মি. ইশিকাওয়া তাকেশির সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

এই বৈঠকগুলির মূল লক্ষ্য হবে ভারত ও জাপানের সামরিক সহযোগিতা প্রসারিত করা, কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি ভাগ করে নেওয়া এবং যৌথ প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তি ভাগাভাগি উদ্যোগের সুযোগ অন্বেষণ করা। আধুনিক সামরিক অপারেশনে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের কারণে, প্রতিরক্ষা ক্রয় এবং লজিস্টিক্স সম্পর্কিত আলোচনা ভবিষ্যতের সহযোগিতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জেনারেল দ্বিবেদী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ইচিগায়াতে একটি স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং জাপান স্থল স্ব-প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার গ্রহণ করবেন। এছাড়াও, তিনি জাপানের প্রতিরক্ষা অধ্যয়ন ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করবেন এবং জাপানের সামরিক বাহিনীর সিনিয়র সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

তৃতীয় দিন: প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তি সহযোগিতা বাড়ানো

১৬ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে, জেনারেল দ্বিবেদী জেনারেল মরিশিতা ইয়াসুনোরির সঙ্গে জাপানের প্রিমিয়ার সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ফুজি স্কুল পরিদর্শন করবেন। সফরের সময়, জেনারেল দ্বিবেদী ফুজি স্কুলের কমান্ডিং জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল কোদামা ইয়াসুইকির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং যৌথ প্রশিক্ষণ প্রচেষ্টা, পরিচালনার অভ্যাস এবং দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রযুক্তি বিনিময় সম্পর্কে আলোচনা করবেন।

জেনারেল দ্বিবেদী ফুজি স্কুলে একটি ব্রিফিং পাবেন এবং একটি সরঞ্জাম ও সুবিধার প্রদর্শনী পর্যবেক্ষণ করবেন। এই বৈঠকটি জাপানের প্রশিক্ষণ অবকাঠামো এবং প্রযুক্তির অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে, যা যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভারতের সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিগুলিকে আরও উন্নত করতে পারে।

চতুর্থ দিন: হিরোশিমায় শান্তি ও স্মৃতি শ্রদ্ধা

জেনারেল দ্বিবেদীর সফরের শেষ দিন, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে, তিনি হিরোশিমায় যাবেন এবং হিরোশিমা পিস পার্কে ফুল অর্পণ করে পারমাণবিক বোমার হামলায় নিহতদের স্মরণ করবেন। এটি গভীর প্রতীকী অর্থ বহন করে, যা শান্তি ও পুনর্মিলনের মূল্যবোধগুলিকে শক্তিশালী করে, যা ভারত ও জাপানের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে রয়েছে। জেনারেল দ্বিবেদী পিস পার্কে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।

সফরের কৌশলগত গুরুত্ব

জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর চার দিনের এই সফর ভারত ও জাপানের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গভীর করার একটি স্পষ্ট উদাহরণ। উভয় দেশই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জটিল নিরাপত্তা গতিশীলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং এই সফর তাদের সামরিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে সাহায্য করবে।

সম্প্রতি, ভারত ও জাপান একাধিক যৌথ সামরিক মহড়া ও কৌশলগত সংলাপে অংশ নিয়েছে, যা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য তাদের ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বকে প্রতিফলিত করে। সেনাপ্রধানের এই সফর এই প্রচেষ্টাগুলির ওপর ভিত্তি করে প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরও জোরদার করার সুযোগ প্রদান করবে এবং যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, প্রযুক্তি বিনিময় এবং কৌশলগত পরিকল্পনার মতো নতুন ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতার প্রসার ঘটাবে।

জেনারেল দ্বিবেদীর জাপান সফর ভারতের আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি জাপানের সঙ্গে তার কৌশলগত অংশীদারিত্ব গভীর করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। উভয় দেশই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এবং এই সফর ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় সামরিক সহযোগিতার পথ সুগম করবে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

বিষয়:

কৌশলগত সফরে জাপান গেলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান

প্রকাশের সময়: ০৯:৩০:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

ভারত ও জাপানের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সোমবার (১৪ অক্টোবর, ২০২৪) চার দিনের সরকারি সফরে জাপানের টোকিওতে পৌঁছেছেন। এই সফর ১৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এবং এর মাধ্যমে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করা এবং দুই দেশের মধ্যে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র অনুসন্ধান করা হবে।

জেনারেল দ্বিবেদীর জাপান সফর এমন সময়ে হচ্ছে যখন আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ বাড়ছে এবং ভারত-জাপান সম্পর্কের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে। সফরে সামরিক সংলাপ, যৌথ প্রশিক্ষণ প্রচেষ্টা এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে, যা দুই দেশের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করবে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর এই সফরের লক্ষ্য ভারতের এবং জাপানের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা আরও মজবুত করা এবং দুই দেশের মধ্যে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র অন্বেষণ করা।”

প্রথম দিন: কূটনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করা

সফরের প্রথম দিনে, জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী টোকিওতে অবস্থিত ভারতের রাষ্ট্রদূত সিবি জর্জের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তাঁরা ভারত-জাপান সম্পর্কের পরিবর্তিত গতিশীলতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সম্পর্কে আলোচনা করবেন। এই বৈঠকটি জেনারেল দ্বিবেদীর জাপানি নেতৃত্বের সঙ্গে পরবর্তী সাক্ষাৎগুলোর জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা সফরের কূটনৈতিক লক্ষ্যগুলিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

জেনারেল দ্বিবেদীর এই সফর ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান ভূমিকার ওপর আলোকপাত করে, যেখানে জাপান একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আলোচনায় সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা কৌশলগুলির মতো অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়গুলিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

দ্বিতীয় দিন: উচ্চ পর্যায়ের সামরিক সংলাপ

১৫ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে, ভারতীয় সেনাপ্রধান জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইচিগায়াতে উচ্চ পর্যায়ের সামরিক আলোচনায় অংশ নেবেন। দিনটির এজেন্ডায় জাপানের সিনিয়র সামরিক নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যার মধ্যে রয়েছেন জাপানের যৌথ স্ব-প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল ইয়োশিদা ইয়োশিহিদে এবং জাপানের স্থল স্ব-প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল মরিশিতা ইয়াসুনোরি। এছাড়াও, তিনি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও ক্রয়ের জন্য দায়ী এজেন্সির প্রধান মি. ইশিকাওয়া তাকেশির সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

এই বৈঠকগুলির মূল লক্ষ্য হবে ভারত ও জাপানের সামরিক সহযোগিতা প্রসারিত করা, কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি ভাগ করে নেওয়া এবং যৌথ প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তি ভাগাভাগি উদ্যোগের সুযোগ অন্বেষণ করা। আধুনিক সামরিক অপারেশনে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের কারণে, প্রতিরক্ষা ক্রয় এবং লজিস্টিক্স সম্পর্কিত আলোচনা ভবিষ্যতের সহযোগিতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জেনারেল দ্বিবেদী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ইচিগায়াতে একটি স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং জাপান স্থল স্ব-প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার গ্রহণ করবেন। এছাড়াও, তিনি জাপানের প্রতিরক্ষা অধ্যয়ন ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করবেন এবং জাপানের সামরিক বাহিনীর সিনিয়র সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

তৃতীয় দিন: প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তি সহযোগিতা বাড়ানো

১৬ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে, জেনারেল দ্বিবেদী জেনারেল মরিশিতা ইয়াসুনোরির সঙ্গে জাপানের প্রিমিয়ার সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ফুজি স্কুল পরিদর্শন করবেন। সফরের সময়, জেনারেল দ্বিবেদী ফুজি স্কুলের কমান্ডিং জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল কোদামা ইয়াসুইকির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং যৌথ প্রশিক্ষণ প্রচেষ্টা, পরিচালনার অভ্যাস এবং দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রযুক্তি বিনিময় সম্পর্কে আলোচনা করবেন।

জেনারেল দ্বিবেদী ফুজি স্কুলে একটি ব্রিফিং পাবেন এবং একটি সরঞ্জাম ও সুবিধার প্রদর্শনী পর্যবেক্ষণ করবেন। এই বৈঠকটি জাপানের প্রশিক্ষণ অবকাঠামো এবং প্রযুক্তির অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে, যা যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভারতের সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিগুলিকে আরও উন্নত করতে পারে।

চতুর্থ দিন: হিরোশিমায় শান্তি ও স্মৃতি শ্রদ্ধা

জেনারেল দ্বিবেদীর সফরের শেষ দিন, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে, তিনি হিরোশিমায় যাবেন এবং হিরোশিমা পিস পার্কে ফুল অর্পণ করে পারমাণবিক বোমার হামলায় নিহতদের স্মরণ করবেন। এটি গভীর প্রতীকী অর্থ বহন করে, যা শান্তি ও পুনর্মিলনের মূল্যবোধগুলিকে শক্তিশালী করে, যা ভারত ও জাপানের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে রয়েছে। জেনারেল দ্বিবেদী পিস পার্কে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।

সফরের কৌশলগত গুরুত্ব

জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর চার দিনের এই সফর ভারত ও জাপানের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গভীর করার একটি স্পষ্ট উদাহরণ। উভয় দেশই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জটিল নিরাপত্তা গতিশীলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং এই সফর তাদের সামরিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে সাহায্য করবে।

সম্প্রতি, ভারত ও জাপান একাধিক যৌথ সামরিক মহড়া ও কৌশলগত সংলাপে অংশ নিয়েছে, যা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য তাদের ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বকে প্রতিফলিত করে। সেনাপ্রধানের এই সফর এই প্রচেষ্টাগুলির ওপর ভিত্তি করে প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরও জোরদার করার সুযোগ প্রদান করবে এবং যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, প্রযুক্তি বিনিময় এবং কৌশলগত পরিকল্পনার মতো নতুন ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতার প্রসার ঘটাবে।

জেনারেল দ্বিবেদীর জাপান সফর ভারতের আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি জাপানের সঙ্গে তার কৌশলগত অংশীদারিত্ব গভীর করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। উভয় দেশই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এবং এই সফর ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় সামরিক সহযোগিতার পথ সুগম করবে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক