সাত ঘণ্টার সফরে কিভে পৌঁছেই ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে ‘ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ হিস্ট্রি’তে রুশ হামলায় নিহত শিশুদের স্মৃতিসৌধে গেলেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কাঁধে হাত রেখে হাঁটতে দেখা গেল ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। ভারতীয় সংস্কৃতিতে যে ‘মুদ্রা’ বিপদের সময় বন্ধুর পাশে থাকার বার্তাবাহী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ থেকে ১০ ঘণ্টার রেলযাত্রায় শুক্রবার সকালে ইউক্রেনের রাজধানী কিভে পৌঁছন। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের আকাশ নিরাপদ নয় বলেই প্রধানমন্ত্রীর এই রেলযাত্রার সিদ্ধান্ত। ওয়ারশের মতোই কিভেও মোদীকে স্বাগত জানাতে অনাবাসী ভারতীয়দের ভিড় ছিল। তাঁর নামে জয়ধ্বনিও শোনা গিয়েছে। হোটেলে পৌঁছনোর পর আধঘণ্টার মধ্যেই মোদী যান গান্ধীমূর্তিতে শ্রদ্ধা অর্পণ করতে। সেখানে উপস্থিত অনাবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে মোদী বলেন, ‘‘ভারতের অবস্থান পরিষ্কার, এটি যুদ্ধের সময় নয়। আমাদর সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মানবতার এই সঙ্কট কাটাতে হবে।’’
জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎপর্বে করমর্দনের পাশাপাশি ছিল ‘মোদীসুলভ’ আলিঙ্গনও। তাঁরা দু’জনে এর পরে ‘ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ হিস্ট্রি’তে যান। সেখানকার ‘মাল্টিমিডিয়া মার্টিরোলজিস্ট এক্সপোজ়িশন’-এ যুদ্ধে নিহত শিশুদের ছবি এবং স্মৃতিসৌধ রয়েছে। তখনই জ়েলেনস্কির কাঁধে হাত রাখতে দেখা যায় মোদীকে। এর পরে দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক শুরু হয়। প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের পর এই প্রথম ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনে গেলেন। চলতি বছরে ৮ জুলাই ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়ে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন মোদী। মনে করা হচ্ছে, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ভারসাম্যের বার্তা দিয়েই এ বার রাশিয়ার শত্রু দেশে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সমালোচকেরা অবশ্য বলছেন, আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়াকে সন্তুষ্ট করতেই তাঁর এই সফর।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মোদীর ইউক্রেন সফরের আগেই বৃহস্পতিবার রাত থেকে ইউক্রেন জুড়ে ধারাবাহিক ড্রোন হানাদারি শুরু করে রাশিয়া। চেরকাসি, কিরোভোহার্ড, পোলতাভা এবং সুমি অঞ্চলে অন্তত ১৬টি রুশ ড্রোন হামলা চালায় বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির বাহিনীর দাবি। তবে আকাশ আক্রমণ প্রতিরোধী ব্যবস্থা (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) সফল ভাবে ড্রোন হামলার মোকাবিলা করেছে বলে ইউক্রেন বায়ুসেনার জানিয়ে বলেছে, ১৪টি হামলাকারী ড্রোনকে সফল ভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষয়টি শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি দ্বারা উত্থাপিত হয়েছিল। এছাড়াও, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরাত কউর বাদল ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কাতারে পুলিশ হেফাজতে থাকা গুরু গ্রন্থ সাহিবের দুটি স্বরূপ মুক্তির বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক