ময়মনসিংহ ০৩:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঁধ খোলার জন্য বাংলাদেশে বন্যা হয়নি: ভারত

ভারতের ত্রিপুরার ধলাই জেলায় গোমতী নদীর ওপরে থাকা ডুম্বুর বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে—বাংলাদেশে এমন একটি উদ্বেগ–উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। এটা বাস্তবে সঠিক নয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন আজ বৃহস্পতিবার নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা উল্লেখ করতে চাই যে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর অববাহিকা (ক্যাচমেন্ট) এলাকায় কয়েক দিন ধরে এ বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে এ বন্যা মূলত বাঁধের ভাটির দিকের বৃহৎ অববাহিকার পানির কারণে ঘটেছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে বেশ দূরে ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি উজানে ডুম্বুর বাঁধের অবস্থান। এটা কম উচ্চতার (প্রায় ৩০ মিটার) একটি বাঁধ। এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ একটি গ্রিডে যুক্ত হয় এবং ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে যায়। প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদীর অববাহিকায় তিনটি জায়গায় (অমরপুর, সোনামুড়া ও সোনামুড়া–২) পানি পর্যবেক্ষণ স্টেশন রয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গতকাল বুধবার (২১ আগস্ট) থেকে পুরো ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে পানির চাপে বাঁধ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি ছাড়ার ঘটনা দেখা গেছে।

উজানে অমরপুর পানি পর্যবেক্ষণ স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির (প্রটোকল) অংশ হিসেবে। এর আওতায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বন্যাসংক্রান্ত যেকোনো তাৎক্ষণিক তথ্য বাংলাদেশকে দিয়ে থাকে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘গতকাল দুপুর ৩টা পর্যন্ত পানিপ্রবাহ অত্যধিক বেড়ে যাওয়ার তথ্য বাংলাদেশকে পাঠানো হয়েছে। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বন্যার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার জেরে যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটে। আমরা জরুরি তথ্য সরবরাহ নিশ্চিতে অন্যান্য মাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করছি।’

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার অভিন্ন নদীগুলোতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি একটি যৌথ সমস্যা। এটা উভয় দেশের মানুষের জন্য দুর্ভোগের জন্ম দেয়। এ সমস্যার সমাধানে ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে ৫৪টি আন্তসীমান্ত নদী রয়েছে। এসব নদীর পানি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে পানিসম্পদ ও অভিন্ন নদীর পানি ব্যবস্থাপনা–সংক্রান্ত বিদ্যমান সমস্যা ও পারস্পরিক উদ্বেগের সমাধান করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক 

বিষয়:

বাঁধ খোলার জন্য বাংলাদেশে বন্যা হয়নি: ভারত

প্রকাশের সময়: ০৯:৩০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

ভারতের ত্রিপুরার ধলাই জেলায় গোমতী নদীর ওপরে থাকা ডুম্বুর বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে—বাংলাদেশে এমন একটি উদ্বেগ–উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। এটা বাস্তবে সঠিক নয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন আজ বৃহস্পতিবার নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা উল্লেখ করতে চাই যে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর অববাহিকা (ক্যাচমেন্ট) এলাকায় কয়েক দিন ধরে এ বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে এ বন্যা মূলত বাঁধের ভাটির দিকের বৃহৎ অববাহিকার পানির কারণে ঘটেছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে বেশ দূরে ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি উজানে ডুম্বুর বাঁধের অবস্থান। এটা কম উচ্চতার (প্রায় ৩০ মিটার) একটি বাঁধ। এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ একটি গ্রিডে যুক্ত হয় এবং ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে যায়। প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদীর অববাহিকায় তিনটি জায়গায় (অমরপুর, সোনামুড়া ও সোনামুড়া–২) পানি পর্যবেক্ষণ স্টেশন রয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গতকাল বুধবার (২১ আগস্ট) থেকে পুরো ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে পানির চাপে বাঁধ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি ছাড়ার ঘটনা দেখা গেছে।

উজানে অমরপুর পানি পর্যবেক্ষণ স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির (প্রটোকল) অংশ হিসেবে। এর আওতায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বন্যাসংক্রান্ত যেকোনো তাৎক্ষণিক তথ্য বাংলাদেশকে দিয়ে থাকে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘গতকাল দুপুর ৩টা পর্যন্ত পানিপ্রবাহ অত্যধিক বেড়ে যাওয়ার তথ্য বাংলাদেশকে পাঠানো হয়েছে। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বন্যার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার জেরে যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটে। আমরা জরুরি তথ্য সরবরাহ নিশ্চিতে অন্যান্য মাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করছি।’

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার অভিন্ন নদীগুলোতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি একটি যৌথ সমস্যা। এটা উভয় দেশের মানুষের জন্য দুর্ভোগের জন্ম দেয়। এ সমস্যার সমাধানে ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে ৫৪টি আন্তসীমান্ত নদী রয়েছে। এসব নদীর পানি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে পানিসম্পদ ও অভিন্ন নদীর পানি ব্যবস্থাপনা–সংক্রান্ত বিদ্যমান সমস্যা ও পারস্পরিক উদ্বেগের সমাধান করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক