ময়মনসিংহ ০৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘এমডি’র পদত্যাগ চাইনা’ -দাবি পিডিবিএফ কর্মীদের

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাভূক্ত পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জনাব মওদুদউর রশিদ সফদারের পদত্যাগ না করার দাবিতে গত তিনদিন যাবত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন অত্র অফিসের সিংহভাগ কর্মী।

এর আগে গত মঙ্গলবার, ‘পিডিবিএফ-এমডি পদত্যাগ করছেন’- এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে, এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন অত্র অফিসের দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল শাখায় কর্মরত হাজারো কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। নিজ নিজ কার্যালয়ের সামনে এমডির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ এবং এমডি’র স্বপদে বহাল তবিয়তে থাকার দাবিতে মানববন্ধন করেন তাঁরা।

এসময় পিডিবিএফ-এর মাঠ পর্যায়ের একাধিক কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, জনাব মওদুদউর রশিদ সফদার গত ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর পিডিবিএফ এর এমডি পদে প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই অফিসে তৎকালীন চলমান বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেন। দেশের অর্থনীতি কোভিড মহামারীতে বিধ্বস্ত থাকলেও অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন পূর্বক অত্র প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেন তিনি। উক্ত ক্রান্তিকালে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হোন তিনি নিজেও।

এছাড়া, দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে সরকারের নিকট হতে ৩০০ কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ ঋণ গ্রহণ করে সফলতার সহিত তা পরিচালনা করেন তিনি এবং সম্প্রতি পিডিবিএফের কার্যক্রম সারা দেশে বিস্তারের লক্ষ্যে তিনি ১৩৫ টি উপজেলায় সম্প্রসারন-২ প্রকল্প’র কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছেন। 

নিষ্ঠা ও সততার পুরস্কার স্বরূপ গত দু বছরে পরপর ২ বার শুদ্ধাচার শ্রেষ্ঠ পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। পিডিবিএফ বোর্ড অব গভর্নর্সর তাঁর কাজে সন্তুষ্ট হয়ে পরবর্তী ৩ বছরের জন্য পুনরায় তাঁকে এমডি পদে নিয়োগ সুপারিশ করেন। গত ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন শুরু করেন তিনি।

এদিকে, প্রতিষ্ঠানকে সুশৃঙ্খল করার লক্ষ্যে দৃঢ়চিত্তে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পিডিবিএফের তৎকালীন কয়েকজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম, দূর্নীতি ও বদলী এবং পদায়ন বাণিজ্যের অভিযোগে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক শাস্তি প্রদান করেন তিনি। ফলত শুরু থেকেই স্বার্থান্বেষী একটি মহলের চোখের বিষে পরিণত হোন জনাব সফদার।

পিডিবিএফ এর একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে জানান, “এমডি সফদার সাহেব অত্যন্ত মিষ্টভাষী, সৎ এবং সজ্জন ব্যক্তি। ব্যক্তিগতভাবে তিনি কখনোই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হননি বলেই আমরা সবাই অবগত। স্বীয় দায়িত্ব পালনেই তিনি সর্বদা সচেষ্ট থাকেন। কিন্তু, কুচক্রী একটি মহল প্রথম দিন থেকেই স্যারের পিছু নিয়েছিলো।”

এই কর্মকর্তা বলেন, “সাবেক প্রধামন্ত্রীর পিএস, স্হানীয় সরকার সচিব ও তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আঃ মালেক মহোদয়ের ভায়রাভাই পিডিবিএফের সাবেক পরিচালক ও পিডিবিএফের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি জনাব আমিনুল ইসলাম স্যার একাধারে পিডিবিএফের ৫টি সোলার প্রকল্পের পিডি ছিলেন। এসময় তিনি নিজের ও তাঁর স্ত্রীর নামে আলাদা কোম্পানি খুলে সোলার ব্যবসা করে পিডিবিএফ হতে প্রায় ১০ কোটি টাকার দূনীর্তি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। শোনা যায়, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্পের টাকা ওয়াইফের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন তিনি।”

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, “পিডিবিএফ এর প্রভাবশালী কর্মকর্তা ছিলেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের আত্মীয় ও পিডিবিএফ বঙ্গবন্ধু পরি়ষদের যুগ্মসম্পাদক জনাব মোঃ মনারুল ইসলাম। তিনিও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে প্রকল্পের পিডি থাকাবস্হায় প্রায় ৩০- ৪০ কোটি টাকা আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আমিনুল ইসলামের মতো তিনিও নিজের ও আত্মীয়ের ব্যাংক হিসাবে টাকা স্থানান্তর করেন। উভয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের রিপোর্ট ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই তদন্ত প্রতিবেদনে যথাক্রমে ৪৫ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ উল্লেখ করে। ফলত, তাদের বিরুদ্ধ দূর্নীতি দমন কমিশন ও মন্ত্রনালয়ে প্রতিবেদন দাখিল পূর্বক আইনত ব্যবস্হা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন এমডি জনাব সফদার সাহেব।”

পরবর্তীতে পূর্বোক্ত কর্মকর্তাদ্বয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয় এবং তদন্ত সাপেক্ষে তাঁদের দোষী হওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় উভয়কেই চাকুরী হতে বরখাস্ত করা হয়। এই দুই কর্মকর্তাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, আমিনুল ও মনারুল গং এর ছত্রছায়ায় আরো বেশ কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ও আত্মসাতের জন্য চাকুরীচ্যুত হয়েছেন। আরও বেশ কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী ইতোমধ্যে দুর্নীতির দায়ে তদন্তের মুখে রয়েছেন। ফলত, নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে ও শাস্তি এড়াতে পিডিবিএফ এমডি’কে দায়িত্ব থেকে সরানোই তাদের কাছে একমাত্র বিকল্প হিসেবে ধরা দেয়।

এমতাবস্থায়, পিডিবিএফের সোলার কর্মী এবং চুক্তি ভিত্তিক ও দৈনিক ভিওিতে নিয়োগ পাওয়া কিছু লোককে আর্থিক সুবিধা দিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অফিসের অভ্যন্তরে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছে বিতাড়িত ও চাকরিচ্যুত মহলটি। আর এজন্যই মূলত এমডি জনাব মওদুদউর রশিদ সফদারের পদত্যাগ ঠেকানোর দাবিতে উত্তাল ও রুদ্ররূপ হয়ে উঠেছেন পিডিবিএফ এর সর্বস্তরের কর্মীবৃন্দ। 

তবে জনাব সফদার অফিসে শৃঙ্খলা ও কর্ম পরিবেশ বজায় রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। 

বিষয়:

‘এমডি’র পদত্যাগ চাইনা’ -দাবি পিডিবিএফ কর্মীদের

প্রকাশের সময়: ০৯:৫০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাভূক্ত পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জনাব মওদুদউর রশিদ সফদারের পদত্যাগ না করার দাবিতে গত তিনদিন যাবত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন অত্র অফিসের সিংহভাগ কর্মী।

এর আগে গত মঙ্গলবার, ‘পিডিবিএফ-এমডি পদত্যাগ করছেন’- এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে, এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন অত্র অফিসের দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল শাখায় কর্মরত হাজারো কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। নিজ নিজ কার্যালয়ের সামনে এমডির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ এবং এমডি’র স্বপদে বহাল তবিয়তে থাকার দাবিতে মানববন্ধন করেন তাঁরা।

এসময় পিডিবিএফ-এর মাঠ পর্যায়ের একাধিক কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, জনাব মওদুদউর রশিদ সফদার গত ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর পিডিবিএফ এর এমডি পদে প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই অফিসে তৎকালীন চলমান বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেন। দেশের অর্থনীতি কোভিড মহামারীতে বিধ্বস্ত থাকলেও অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন পূর্বক অত্র প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেন তিনি। উক্ত ক্রান্তিকালে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হোন তিনি নিজেও।

এছাড়া, দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে সরকারের নিকট হতে ৩০০ কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ ঋণ গ্রহণ করে সফলতার সহিত তা পরিচালনা করেন তিনি এবং সম্প্রতি পিডিবিএফের কার্যক্রম সারা দেশে বিস্তারের লক্ষ্যে তিনি ১৩৫ টি উপজেলায় সম্প্রসারন-২ প্রকল্প’র কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছেন। 

নিষ্ঠা ও সততার পুরস্কার স্বরূপ গত দু বছরে পরপর ২ বার শুদ্ধাচার শ্রেষ্ঠ পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। পিডিবিএফ বোর্ড অব গভর্নর্সর তাঁর কাজে সন্তুষ্ট হয়ে পরবর্তী ৩ বছরের জন্য পুনরায় তাঁকে এমডি পদে নিয়োগ সুপারিশ করেন। গত ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন শুরু করেন তিনি।

এদিকে, প্রতিষ্ঠানকে সুশৃঙ্খল করার লক্ষ্যে দৃঢ়চিত্তে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পিডিবিএফের তৎকালীন কয়েকজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম, দূর্নীতি ও বদলী এবং পদায়ন বাণিজ্যের অভিযোগে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক শাস্তি প্রদান করেন তিনি। ফলত শুরু থেকেই স্বার্থান্বেষী একটি মহলের চোখের বিষে পরিণত হোন জনাব সফদার।

পিডিবিএফ এর একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে জানান, “এমডি সফদার সাহেব অত্যন্ত মিষ্টভাষী, সৎ এবং সজ্জন ব্যক্তি। ব্যক্তিগতভাবে তিনি কখনোই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হননি বলেই আমরা সবাই অবগত। স্বীয় দায়িত্ব পালনেই তিনি সর্বদা সচেষ্ট থাকেন। কিন্তু, কুচক্রী একটি মহল প্রথম দিন থেকেই স্যারের পিছু নিয়েছিলো।”

এই কর্মকর্তা বলেন, “সাবেক প্রধামন্ত্রীর পিএস, স্হানীয় সরকার সচিব ও তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আঃ মালেক মহোদয়ের ভায়রাভাই পিডিবিএফের সাবেক পরিচালক ও পিডিবিএফের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি জনাব আমিনুল ইসলাম স্যার একাধারে পিডিবিএফের ৫টি সোলার প্রকল্পের পিডি ছিলেন। এসময় তিনি নিজের ও তাঁর স্ত্রীর নামে আলাদা কোম্পানি খুলে সোলার ব্যবসা করে পিডিবিএফ হতে প্রায় ১০ কোটি টাকার দূনীর্তি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। শোনা যায়, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্পের টাকা ওয়াইফের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন তিনি।”

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, “পিডিবিএফ এর প্রভাবশালী কর্মকর্তা ছিলেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের আত্মীয় ও পিডিবিএফ বঙ্গবন্ধু পরি়ষদের যুগ্মসম্পাদক জনাব মোঃ মনারুল ইসলাম। তিনিও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে প্রকল্পের পিডি থাকাবস্হায় প্রায় ৩০- ৪০ কোটি টাকা আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আমিনুল ইসলামের মতো তিনিও নিজের ও আত্মীয়ের ব্যাংক হিসাবে টাকা স্থানান্তর করেন। উভয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের রিপোর্ট ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই তদন্ত প্রতিবেদনে যথাক্রমে ৪৫ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ উল্লেখ করে। ফলত, তাদের বিরুদ্ধ দূর্নীতি দমন কমিশন ও মন্ত্রনালয়ে প্রতিবেদন দাখিল পূর্বক আইনত ব্যবস্হা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন এমডি জনাব সফদার সাহেব।”

পরবর্তীতে পূর্বোক্ত কর্মকর্তাদ্বয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয় এবং তদন্ত সাপেক্ষে তাঁদের দোষী হওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় উভয়কেই চাকুরী হতে বরখাস্ত করা হয়। এই দুই কর্মকর্তাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, আমিনুল ও মনারুল গং এর ছত্রছায়ায় আরো বেশ কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ও আত্মসাতের জন্য চাকুরীচ্যুত হয়েছেন। আরও বেশ কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী ইতোমধ্যে দুর্নীতির দায়ে তদন্তের মুখে রয়েছেন। ফলত, নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে ও শাস্তি এড়াতে পিডিবিএফ এমডি’কে দায়িত্ব থেকে সরানোই তাদের কাছে একমাত্র বিকল্প হিসেবে ধরা দেয়।

এমতাবস্থায়, পিডিবিএফের সোলার কর্মী এবং চুক্তি ভিত্তিক ও দৈনিক ভিওিতে নিয়োগ পাওয়া কিছু লোককে আর্থিক সুবিধা দিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অফিসের অভ্যন্তরে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছে বিতাড়িত ও চাকরিচ্যুত মহলটি। আর এজন্যই মূলত এমডি জনাব মওদুদউর রশিদ সফদারের পদত্যাগ ঠেকানোর দাবিতে উত্তাল ও রুদ্ররূপ হয়ে উঠেছেন পিডিবিএফ এর সর্বস্তরের কর্মীবৃন্দ। 

তবে জনাব সফদার অফিসে শৃঙ্খলা ও কর্ম পরিবেশ বজায় রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।