“আমাদের শক্তি আমাদের ঐক্যের মধ্যেই নিহিত! সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা সমাজের জন্য মারাত্মক হুমকি”, গ্লোবাল সাউথ সামিটে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শনিবার থেকে শুরু হওয়া ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গ্লোবাল সাউথের দেশগুলিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে শীর্ষ সম্মেলনের লক্ষ্য উন্নয়ন এবং নারী-নেতৃত্বাধীন উদ্যোগ।
এদিনের ভাষণে মোদী বলেন, “আমাদের শক্তি আমাদের ঐক্যের মধ্যে নিহিত, এবং এই ঐক্যের শক্তিতে আমরা নতুন দিকের দিকে এগিয়ে যাব। ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিট হল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আমরা চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষার কথা বলি”। প্রধানমন্ত্রী মোদী দীপ্ত কন্ঠে উল্লেখ করেছেন যে শীর্ষ সম্মেলনে উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য এবং শক্তি সুরক্ষা সহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিকে তুলে ধরা হবে।
এপ্রসঙ্গে মোদী বলেন, “আজ আমরা এমন এক সময়ে মিলিত হচ্ছি যখন চারদিকে অনিশ্চয়তার পরিবেশ। বিশ্ব এখনও পুরোপুরি কোভিডের প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসেনি। অন্যদিকে, যুদ্ধের পরিস্থিতি আমাদের উন্নয়ন যাত্রার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি না, এখন স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে।”
উপরন্তু, তিনি জোর দিয়েছিলেন যে সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ আমাদের সমাজের জন্য গুরুতর হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আফ্রিকা এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে হাসপাতাল, ভেন্টিলেটর এবং জন ঔষধি কেন্দ্র স্থাপন এবং পাপুয়া নিউ গিনি এবং কেনিয়ার মতো দেশগুলিতে সাহায্যে ভারতের অবদানগুলিওকে তুলে ধরেন। তিনি গাজা এবং ইউক্রেনের চলমান সংঘাতের মধ্যে প্রদত্ত “মানবিক সহায়তার” প্রশংসা করেছেন।
এর আগে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময়, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন যে সমস্ত গ্লোবাল সাউথ দেশগুলিকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আলোচনায় দ্বন্দ্ব, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তন সহ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে, তিনি উল্লেখ করেছেন যে ভারত সরকার ঘনিষ্ঠভাবে গোটা বিষয়কে পর্যবেক্ষণ করছে এবং হিন্দু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা শীঘ্রই নিশ্চিত হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক