বিগত এক দশকে ভিয়েতনামের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বেড়েছে, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিনের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, “আমি ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চীন এবং তাঁর প্রতিনিধি দলকে ভারতে স্বাগত জানাই। প্রথমত, আমি ভিয়েতনামের সাধারণ সম্পাদক নগুয়েন ফু ট্রং-এর মৃত্যুতে ভারতের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করতে চাই। তিনি ভারতের ভালো বন্ধু ছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “গত এক দশকে ভিয়েতনামের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বেড়েছে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক দশকে আমাদের যোগাযোগ বেড়েছে এবং এখন আমাদের ৫০টির বেশি সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে।”
দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে এদিন মোদী ও ফাম মিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চীনের উপস্থিতিতে ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, “আমাদের আজকের আলোচনায়, আমরা পারস্পরিক সহযোগিতার সকল ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছি এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, ভারতের ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ ভিশন এবং ‘ভিয়েতনামের ২০৪৫’ ভিশনের কারণে উভয় দেশেই উন্নয়ন গতি পেয়েছে। এটি পারস্পরিক সহযোগিতার অনেক নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করছে।”
সম্পর্কোন্নয়নের বার্তা দিয়ে মোদী জানান, “এখন আমরা আমাদের ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার জন্য একটি নতুন কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করেছি। প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ৩০০ মিলিয়ন ডলারের ক্রেডিট লাইনে উপনীত চুক্তি ভিয়েতনামের সামুদ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করবে।”
প্রসঙ্গত, ৩ দিনের সফরে ভারতে এসেছেন ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন। আজ, বৃহস্পতিবার তিনি পৌঁছন রাষ্ট্রপতি ভবনে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাম মিন চিনকে দেখেই আলিঙ্গন করেন নমো। সৌজন্য বিনিময় করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। এদিন রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানান ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে তাঁর।
বলা বাহুল্য, ভারত ও ভিয়েতনামের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বহু পুরনো। তবে এবার মূলত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ‘দাদাগিরি’ রুখতে একজোট হয়েছে দুদেশ। সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আরও এককাট্টা হবে দু দেশ। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক