ময়মনসিংহ ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবারের বাজেট উন্নত ভারতের ভিত্তিস্বরূপ: নির্মলা সীতারমণ 

ময়মনসিংহ: ইতোমধ্যে ভারতের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নতুন বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। গত মঙ্গলবার পার্লামেন্টে প্রায় ৪৬ লাখ কোটি রুপির (২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার) বাজেট ঘোষণা করেন তিনি। বাজেটে ঘাটতি দূরীকরণের পরিবর্তে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং স্থানীয় ব্যবসা ও অবকাঠামোতে।

এ ছাড়া রয়েছে ভারতের যুবক ও মহিলাদের জন্য দক্ষতামূলক কর্মসূচি এবং নিম্ন আয়ের উপার্জনকারীদের জন্য আনা হয়েছে নতুন কর ব্যবস্থা। চলতি অর্থবছরের জন্য ভারতের রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪ দশমিক ৯ শতাংশ করা হয়েছে, যা অন্তর্বর্তী বাজেটের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ। এ ছাড়া বাড়ানো হয়েছে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স।   

মোদীর নেতৃত্বাধীন তৃতীয় সরকারের পেশ করা প্রথম এই সাধারণ বাজেটে ৯ টি অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র উল্লেখ করেছেন সীতারমণ। এর মধ্যে প্রথমেই কৃষিখাত এবং যুবকদের কর্মসংস্থানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

কৃষিখাতে ১ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে। কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বিকাশ ও উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি পাঁচটি রাজ্যে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড চালুর প্রস্তাব রাখা হয়েছে বাজেটে। কৃষিক্ষেত্রের সংস্কার ও গবেষণার ওপরও দেওয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব।

ওদিকে, কর্মসংস্খানের ক্ষেত্রে ভারতের এক কোটি যুবককে ৫০০ টি বড় কোম্পানিতে শিক্ষানবিশ হিসাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। শিক্ষানবিশ থাকাকালে তারা মাসে ৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন।

তাছাড়া, কর্মসংস্খান বৃদ্ধিতে উৎসাহ দিতে ইপিএফও নিয়ে বড় ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। প্রথমবারের জন্য যারা কর্মচারি ভবিষ্যনিধি প্রকল্পের আওতায় আসবেন, তাদের জন্য একমাসের বেতন সরকারের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হবে।

করের ক্ষেত্রে নতুন নিয়মে যারা আয়কর দেন, তাদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সীমা ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনও আয়কর দিতে হবে না।

৩ লাখ থেকে ৭ লাখ- ৫ শতাংশ, ৭ থেকে ১০ লাখ- ১০ শতাংশ, ১০ থেকে ১২ লাখ- ১৫ শতাংশ এবং ১২ থেকে ১৫ লাখ- ২০ শতাংশ আয়কর দেওয়া এবং ১৫ লাখ টাকার বেশি আয়ের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ করের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। কমানো হয়েছে ই কমার্সের ওপর উৎসমূলে করের হার।

অন্যান্য অগ্রধিকারের মধ্যে আছে, মানব সম্পদের উন্নয়ন, শিল্পউৎপাদন ক্ষেত্রের বিকাশ, নগরোন্নয়ন, জ্বালানি সুরক্ষা, পরিকাঠামো উন্নয়ন, উন্নয়ন ও গবেষণা এবং আগামী প্রজন্মের সংস্কার। যুব সম্প্রদায়কে স্বনির্ভর করতে মুদ্রা যোজনায় ঋণের ঊর্ধ্বসীমা ১০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ লাখ টাকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

পূর্ব ভারতের বিকাশে কেন্দ্র সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে। সেখানে সড়ক উন্নয়নে ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে বাজেটে। আঞ্চলিক শিল্প ও বাণিজ্যের বিকাশে তৈরি করা হবে অমৃতসর-কলকাতা শিল্প করিডর।

বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশের উন্নয়নে বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। বিহারে নতুন মেডিকেল কলেজ এবং বিমানবন্দর তৈরি করা হবে। গঙ্গার ওপর তৈরি হবে ২ টি নতুন সেতু। অন্ধ্রপ্রদেশে নতুন রাজধানী নির্মাণে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক 

বিষয়:

এবারের বাজেট উন্নত ভারতের ভিত্তিস্বরূপ: নির্মলা সীতারমণ 

প্রকাশের সময়: ১০:০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ময়মনসিংহ: ইতোমধ্যে ভারতের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নতুন বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। গত মঙ্গলবার পার্লামেন্টে প্রায় ৪৬ লাখ কোটি রুপির (২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার) বাজেট ঘোষণা করেন তিনি। বাজেটে ঘাটতি দূরীকরণের পরিবর্তে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং স্থানীয় ব্যবসা ও অবকাঠামোতে।

এ ছাড়া রয়েছে ভারতের যুবক ও মহিলাদের জন্য দক্ষতামূলক কর্মসূচি এবং নিম্ন আয়ের উপার্জনকারীদের জন্য আনা হয়েছে নতুন কর ব্যবস্থা। চলতি অর্থবছরের জন্য ভারতের রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪ দশমিক ৯ শতাংশ করা হয়েছে, যা অন্তর্বর্তী বাজেটের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ। এ ছাড়া বাড়ানো হয়েছে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স।   

মোদীর নেতৃত্বাধীন তৃতীয় সরকারের পেশ করা প্রথম এই সাধারণ বাজেটে ৯ টি অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র উল্লেখ করেছেন সীতারমণ। এর মধ্যে প্রথমেই কৃষিখাত এবং যুবকদের কর্মসংস্থানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

কৃষিখাতে ১ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে। কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বিকাশ ও উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি পাঁচটি রাজ্যে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড চালুর প্রস্তাব রাখা হয়েছে বাজেটে। কৃষিক্ষেত্রের সংস্কার ও গবেষণার ওপরও দেওয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব।

ওদিকে, কর্মসংস্খানের ক্ষেত্রে ভারতের এক কোটি যুবককে ৫০০ টি বড় কোম্পানিতে শিক্ষানবিশ হিসাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। শিক্ষানবিশ থাকাকালে তারা মাসে ৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন।

তাছাড়া, কর্মসংস্খান বৃদ্ধিতে উৎসাহ দিতে ইপিএফও নিয়ে বড় ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। প্রথমবারের জন্য যারা কর্মচারি ভবিষ্যনিধি প্রকল্পের আওতায় আসবেন, তাদের জন্য একমাসের বেতন সরকারের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হবে।

করের ক্ষেত্রে নতুন নিয়মে যারা আয়কর দেন, তাদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সীমা ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনও আয়কর দিতে হবে না।

৩ লাখ থেকে ৭ লাখ- ৫ শতাংশ, ৭ থেকে ১০ লাখ- ১০ শতাংশ, ১০ থেকে ১২ লাখ- ১৫ শতাংশ এবং ১২ থেকে ১৫ লাখ- ২০ শতাংশ আয়কর দেওয়া এবং ১৫ লাখ টাকার বেশি আয়ের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ করের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। কমানো হয়েছে ই কমার্সের ওপর উৎসমূলে করের হার।

অন্যান্য অগ্রধিকারের মধ্যে আছে, মানব সম্পদের উন্নয়ন, শিল্পউৎপাদন ক্ষেত্রের বিকাশ, নগরোন্নয়ন, জ্বালানি সুরক্ষা, পরিকাঠামো উন্নয়ন, উন্নয়ন ও গবেষণা এবং আগামী প্রজন্মের সংস্কার। যুব সম্প্রদায়কে স্বনির্ভর করতে মুদ্রা যোজনায় ঋণের ঊর্ধ্বসীমা ১০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ লাখ টাকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

পূর্ব ভারতের বিকাশে কেন্দ্র সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে। সেখানে সড়ক উন্নয়নে ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে বাজেটে। আঞ্চলিক শিল্প ও বাণিজ্যের বিকাশে তৈরি করা হবে অমৃতসর-কলকাতা শিল্প করিডর।

বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশের উন্নয়নে বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। বিহারে নতুন মেডিকেল কলেজ এবং বিমানবন্দর তৈরি করা হবে। গঙ্গার ওপর তৈরি হবে ২ টি নতুন সেতু। অন্ধ্রপ্রদেশে নতুন রাজধানী নির্মাণে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক