ময়মনসিংহ: লাওসের ভিয়েনতিয়েনে চলমান আসিয়ান-ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের উদ্বোধনী মঞ্চে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, “ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক দর্শনের প্রধানতম কেন্দ্র আসিয়ান।”
শুক্রবার (২৬ জুলাই) মোদী মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্য বলেন, “আসিয়ানের সাথে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা আমাদের সর্বাধিক অগ্রাধিকার। আমরা ক্রমাগত সম্পর্কোন্নয়নের দিকে হাঁটছি। মনে রাখতে হবে, প্রতিনিয়ত আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মজবুত হচ্ছে।”
আসিয়ানের প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করে জয়শঙ্কর বলেন, “২০২২ সাল হতে ভারত-আসিয়ান সম্পর্ক ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হয়েছে। ভারত দৃঢ়ভাবে আসিয়ানের কেন্দ্রীয়তা সমর্থন করে। সবার নিশ্চয়ই মনে আছে, গতবছরও আমাদের প্রধানমন্ত্রী আসিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুতিকরণের ১২ দফা দিয়েছিলেন।”
গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিলো, লাওসের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালেউমক্সে কোমাসিথের আমন্ত্রণে এই সফরে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর। বলা হচ্ছে, ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির দশ বছর পূর্তিতে আসিয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কোন্নয়নের বার্তা নিয়ে লাওস গিয়েছেন জয়শঙ্কর। এর আগে ২০১৪ সালে পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এদিকে শেষ খবর পাওয়া অবধি, আসিয়ান মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই -এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সেরেছেন জয়শঙ্কর। সেখানে সীমান্ত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় করেন দুই নেতা। পাশাপাশি ফিলিপাইন, নরওয়ে, তিমুর এবং কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন তিনি। এসব দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক আরও গভীরতর করার উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেছেন মোদী মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্য।
বৃহস্পতিবার চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ভারত-চীন সম্পর্ককে ‘স্থিতিশীল ও পুনর্গঠন’ করার জন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) বাকি সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধানের দিকে মন দেওয়ার ব্যাপারে অভিমত দিয়েছেন।
লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনে আসিয়ান-সম্পর্কিত বৈঠকের ফাঁকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ৪ জুলাই আস্তানায় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই মন্ত্রীর শেষ বৈঠকের পর থেকে এই বৈঠক পরিস্থিতি পর্যালোচনার সুযোগ পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দশটি রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা, যা ১৯৬৭ সালের ৮ আগস্ট ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার এবং ভিয়েতনাম এর সদস্যপদ লাভ করে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সাইফুল আলম তুহিন
ইমেইল: news@pratidinermymensingh.com
©সর্বস্বত্ব ২০১৬-২০২৪ | প্রতিদিনের ময়মনসিংহ