ভারতের সঙ্গে প্রায় ৬১টি যৌথ প্রকল্পের অনুমোদন করেছে ভূটান সরকার। সূত্রের খবর, ভূটানের ১৩তম পঞ্চ-বার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ হাজার কোটি রুপি।
এছাড়া, ভূটানের ১৩তম পঞ্চ-বার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে জন্য প্রায় ১০০ বিলিয়ন রুপি অর্থ সহায়তা প্রকল্প ঘোষণা করেছে ভারত। উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভুটান সফরকালে এই সাহায্য দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন।
ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিকাঠামো, শক্তি, দক্ষতা, উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং মহাকাশ প্রযুক্তি প্রমূখ। পাশাপাশি উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, অংশীদারিত্ব, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে ১৯ জুলাই ভূটানের পররাষ্ট্র সচিব পেমা চোডেনের আমন্ত্রণে দেশটিতে যান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি। সফরটি ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে ইতোমধ্যে বিবৃতি দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর।
ভূটান সফরকালে দেশটির মহামান্য রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মিসরি। এছাড়াও, দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে, পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী ডিএন ধুংগেল এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালে কাশ্মীরের শ্রীনগরে জন্মগ্রহণ করেন মিসরি। তবে ছেলেবেলায় পড়াশোনা করেছিলেন গোয়ালিয়রে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত হিন্দু কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক পাস করেন। তারপর এমবিএ করেছিলেন তিনি। ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস অফিসার হওয়ার আগে তিন বছর বিজ্ঞাপন জগতে ছিলেন মিসরি।
তিনজন প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মিসরি- ইন্দ্রকুমার গুজরাল (১৯৯৭), মনমোহন সিং (২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল) এবং নরেন্দ্র মোদী (২০১৪ সালের মে থেকে ২০১৪ সালের জুলাই)। একাধিক দেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন মিসরি।
২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত স্পেনে রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি। তারপর মায়ানমারে রাষ্ট্রদূত ছিলেন মিসরি। এছাড়াও বেলজিয়াম, পাকিস্তান, আমেরিকা, শ্রীলঙ্কা ও জার্মানির মতো দেশেও গুপুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চিনে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন মিসরি। যে সময় পূর্ব লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ও চিনের সংঘাত চরমে উঠেছিল।
২০২০ সালের জুনে গালওয়ানে সংঘর্ষের সময় তিনি চিনে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। সেই সময় নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে আলোচনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। বিষয়টির সঙ্গে জড়িত এ কর্মকর্তা বলেন, চীনে কাজ করার সুবাদে সেই দেশকে ভালো চেনেন মিসরি। তাই অভিজ্ঞ একজনকেই পরারাষ্ট্র সচিব করা হয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সাইফুল আলম তুহিন
ইমেইল: news@pratidinermymensingh.com
©সর্বস্বত্ব ২০১৬-২০২৪ | প্রতিদিনের ময়মনসিংহ