সম্প্রতি রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর থেকে আমেরিকা ভারতকে নিয়ে লাগাতার বিবৃতি দিয়ে আসছে। এদিকে, ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গ্যারেস্টি বলেছিলেন যে সংঘাতের সময়ে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন কিছু যায় আসে না। এবার আমেরিকাকে তার নিজের ভাষায় জবাব দিয়েছে ভারত।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, “ভারতও সেই দেশগুলির মধ্যে রয়েছে যারা নিজেদের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনকে সম্মান করে। স্পষ্টতই আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের তার মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। এ ব্যাপারে ভারতেরও নিজস্ব চিন্তাভাবনা রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের অধীনে, আমরা একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্মান করার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে একে অপরের সাথে একমত হতে পারি এবং ভিন্নমত পোষণ করতে পারি।”
ভারত-মার্কিন সম্পর্কের বিষয়ে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারত-আমেরিকার একটি কৌশলগত, বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব রয়েছে। দুই দেশেরই আলোচনার অনেক বিষয় রয়েছে। উভয় পক্ষই একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় বসেছে। পারস্পরিক স্বার্থের যে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। কূটনীতিকদের মধ্যে কথোপকথনের তথ্য প্রদান করা আমাদের অভ্যাস নয়।”
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, “আজ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেনে তার প্রতিপক্ষের সাথে কথা বলেছেন। এ সময় পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আমরা ইউক্রেনের সাথে বিভিন্নভাবে সংযুক্ত। আমরা একে অপরের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে থাকি।”
শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে রাশিয়া গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে “যুদ্ধের ময়দানে কোনো সংঘাতের সমাধান করা যাবে না। এ সময় তিনি যৌথ আলোচনায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, নারী, শিশু ও সাধারণ নাগরিকের প্রতি সহিংসতা ঠিক নয়।”
এর আগে, ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গ্যারেস্টি বলেছিলেন যে তিনি ভারতের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনকে সম্মান করেন তবে সংঘাতের এই সময়ে এই জাতীয় কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের কোনও অর্থ নেই। তিনি আরও বলেন, “এই কঠিন সময়ে আমাদের একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে।”
গ্যারেস্টি আরও বলেন, “যুদ্ধ ও সংঘাতের এই সময়ে আমাদের শুধু শান্তির জন্য দাঁড়ানো উচিত নয়। যারা শান্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।” আসলে, গ্যারেস্টির এই মন্তব্যটি করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক রাশিয়া সফরের পর। রাশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আমেরিকা। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক