ময়মনসিংহ ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুলবাড়ীয়ার লালচিনি ও হলুদের জিআই স্বীকৃতি প্রসঙ্গে

অলংকরণ: প্রতিদিনের ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ: সম্প্রতি টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের চলমান আলোচনা-সমালোচনায় জিআই বিষয়ে ব্যপক নাগরিক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। এতকাল শামুক গতিতে চলা এই বিষয়টি হঠাৎ ব্যপক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নিজের সন্তান অনাদরে পড়ে থাকতে অসুবিধা ছিল না, অন্য কেউ সন্তানের দাবি করতেই মাতৃসত্ত্বা জেগে উঠেছে সকলের মনে। এবার বেশ রাখঢাক করেই একে একে জিআই পণ্যের তালিকা লম্বা হচ্ছে।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেই প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগ (ডিপিডিটি) ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক এবং আটটি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারকে প্রতিটি জেলায় জিআই পণ্যের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে।

মূলত মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশ ঘটতে ঘটতে বর্তমান পৃথিবী এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, যেখানে আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠা ও আত্মমর্যাদা রক্ষা করাকে প্রতিটি মানুষ নিজেদের অবশ্য কর্তব্য বলে মনে করে। মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ সারাবিশ্বেই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। পাশাপাশি প্রতিটি সমাজ বা রাষ্ট্র তাদের নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রাখতে পণ্য কিংবা সংস্কৃতি, সবকিছুরই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও মৌলিক পরিচয় প্রতিষ্ঠায় বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে। কোনো দেশের সীমান্ত রক্ষা যেমন জরুরি, সেদেশের নিজস্ব পণ্যসামগ্রী থেকে সংস্কৃতি, সেগুলোরও পেটেন্ট রক্ষা করা অধিকতর জরুরি হয়ে পড়েছে।

টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের দাবিকৃত ভারতীয় সিদ্ধান্তের ধাক্কায় জিআই পণ্যের ব্যপারে বাংলাদেশজুড়ে ব্যপক এই গণজাগরণ অবশ্যই আশা জাগানিয়া।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার হলুদ ও আখের লাল চিনি এই জনপদের নিজস্ব ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য।

ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ু উৎকৃষ্ট মানের হলুদ উৎপাদনের জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত। এখানে প্রতি বছর প্রায় শত কোটি টাকার হলুদ উৎপাদিত হয়। এই এলাকার পাহাড়ি এলাকা আর লাল মাটিতে উৎপন্ন হলুদ রঙে, গন্ধে ও স্বাদে অতুলনীয় ও মৌলিক গুণে ভরপুর। দেশজুড়ে এর বিশাল চাহিদা রয়েছে। এখানকার কৃষকদের হাতে উৎপাদিত হলুদ দেশের অর্থনীতিতেও ব্যাপক অবদান রাখছে।

অন্যদিকে, ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় ঐতিহ্যগতভাবে দেশীয় পদ্ধতিতে হাতে তৈরি আখের চিনি দেশবিখ্যাত। এক্ষেত্রে আখচাষের জন্য উপজেলার বাকতা, রাধাকানাই, কালাদহ ও আছিম ইউনিয়ন উল্লেখযোগ্য। তবে, আখ থেকে লাল চিনি উৎপাদনে এগিয়ে রাধাকানাই ইউনিয়নের পলাশতলী গ্রাম। এক সময় এই গ্রামের প্রায় শতভাগ মানুষ লাল চিনি তৈরিতে জড়িত ছিল।

জানা গেছে, প্রায় ২০০ বছর যাবত পলাশতলী গ্রামের কৃষকরা নিজস্ব প্রযুক্তির সাহায্যে আখ থেকে লাল চিনি উৎপাদন করে আসছেন। কৃষকরা এক সময় গরু দিয়ে ঘানির মতো তৈরি করে আখ থেকে রস বের করতেন। এখন আধুনিকায়নের ছোঁয়া লাগায় ডিজেল-চালিত শ্যালো মেশিনের সাহায্যে আখ থেকে রস বের করে প্রক্রিয়াজাতকরণ করে লাল চিনি তৈরি করেন।

আখচাষীরা ফাল্গুন মাসে আখ কেটে বীজ খণ্ড সংগ্রহ করেন। এই মাসেই বীজতলায় রোপা আখের চারা তৈরি করেন। সেই চারা বৈশাখ মাসে বৃষ্টিপাতের সময় জমিতে রোপণ করেন। এসব এলাকায় বেশ বৃষ্টি হওয়ায় আখচাষে সেচের প্রয়োজন হয় না। নিয়মিত নিড়ানি দিয়ে ৯ থেকে ১০ মাসে পরিপক্ক আখ হয়। আমন ধান কাটার পর পৌষ-মাঘ-ফাল্গুন মাসে আখ থেকে লাল চিনি তৈরির কাজ শুরু করেন।

প্রথমে আখ কেটে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত মাড়াই কলের সাহায্যে তা থেকে রস বের করা হয়। তার পাশেই তৈরি করা হয় জ্বাল ঘর। সেখানে তৈরি করা হয় ৭টি চুলা। জ্বাল ঘরের চুলায় ৭টি লোহার কড়াই বসানো হয়। তারপর প্রথম কড়াইয়ে পরিমাণমতো কাঁচা রস দিয়ে জ্বাল দেওয়া শুরু করা হয়। জ্বাল দেওয়ার আধা ঘণ্টা পর প্রথম কড়াই থেকে দ্বিতীয় কড়াইয়ে, তারপর তৃতীয় কড়াইয়ে এভাবে সপ্তম কড়াইয়ে জ্বাল দেওয়া রস নারিকেলের মালাইয়ের হাতা দিয়ে স্থানান্তর করা হয়।

সপ্তম কড়াইয়ে রস দিয়ে তা পরিষ্কার করার জন্য শিমুল গাছের কচি ডালের রস ব্যবহার করা হয়। কড়াইয়ে শিমুলের রস দেওয়ার কিছুক্ষণ পর আখের রস থেকে কালো ময়লা আলাদা হয়ে কড়াইয়ের ওপর ভেসে ওঠে। সেই ময়লা হাতল দিয়ে আলাদা করা হলে আখের রস পরিষ্কার হয়ে যায়। পরে আরও কিছুক্ষণ জ্বাল দিলে তা ঘন হয়ে ওঠে। ঘন রস চুলা থেকে নামিয়ে কাঠের তৈরি মুগুর দিয়ে বারবার ঘর্ষণ করে দানাদার বাদামি রঙের লাল চিনি তৈরি করা হয় এবং তা রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়।

শত বছরের গ্রামীণ চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতিতে উৎপাদিত লাল চিনি ও হলুদের দেশীয়-আন্তর্জাতিক বাজার বিকাশ এবং এই এলাকার ব্র‍্যান্ডিং করার ক্ষেত্রে পণ্য দুটির ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) স্বীকৃতি আবশ্যক।

ফুলবাড়ীয়ার নবনির্বাচিত সাংসদ আলহাজ্ব আব্দুল মালেক সরকার একজন সংস্কৃতিসচেতন ও উদ্যমী নেতা। এই জনপদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় ফুলবাড়ীয়ার লাল চিনি ও হলুদের জিআই স্বীকৃতি আদায়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করি।

লেখক: উদ্যোক্তা ও সংগঠক (ইমেইল: contact@mkawser.com)

ফুলবাড়ীয়ার লালচিনি ও হলুদের জিআই স্বীকৃতি প্রসঙ্গে

প্রকাশের সময়: ০৪:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ময়মনসিংহ: সম্প্রতি টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের চলমান আলোচনা-সমালোচনায় জিআই বিষয়ে ব্যপক নাগরিক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। এতকাল শামুক গতিতে চলা এই বিষয়টি হঠাৎ ব্যপক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নিজের সন্তান অনাদরে পড়ে থাকতে অসুবিধা ছিল না, অন্য কেউ সন্তানের দাবি করতেই মাতৃসত্ত্বা জেগে উঠেছে সকলের মনে। এবার বেশ রাখঢাক করেই একে একে জিআই পণ্যের তালিকা লম্বা হচ্ছে।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেই প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগ (ডিপিডিটি) ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক এবং আটটি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারকে প্রতিটি জেলায় জিআই পণ্যের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে।

মূলত মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশ ঘটতে ঘটতে বর্তমান পৃথিবী এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, যেখানে আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠা ও আত্মমর্যাদা রক্ষা করাকে প্রতিটি মানুষ নিজেদের অবশ্য কর্তব্য বলে মনে করে। মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ সারাবিশ্বেই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। পাশাপাশি প্রতিটি সমাজ বা রাষ্ট্র তাদের নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রাখতে পণ্য কিংবা সংস্কৃতি, সবকিছুরই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও মৌলিক পরিচয় প্রতিষ্ঠায় বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে। কোনো দেশের সীমান্ত রক্ষা যেমন জরুরি, সেদেশের নিজস্ব পণ্যসামগ্রী থেকে সংস্কৃতি, সেগুলোরও পেটেন্ট রক্ষা করা অধিকতর জরুরি হয়ে পড়েছে।

টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের দাবিকৃত ভারতীয় সিদ্ধান্তের ধাক্কায় জিআই পণ্যের ব্যপারে বাংলাদেশজুড়ে ব্যপক এই গণজাগরণ অবশ্যই আশা জাগানিয়া।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার হলুদ ও আখের লাল চিনি এই জনপদের নিজস্ব ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য।

ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ু উৎকৃষ্ট মানের হলুদ উৎপাদনের জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত। এখানে প্রতি বছর প্রায় শত কোটি টাকার হলুদ উৎপাদিত হয়। এই এলাকার পাহাড়ি এলাকা আর লাল মাটিতে উৎপন্ন হলুদ রঙে, গন্ধে ও স্বাদে অতুলনীয় ও মৌলিক গুণে ভরপুর। দেশজুড়ে এর বিশাল চাহিদা রয়েছে। এখানকার কৃষকদের হাতে উৎপাদিত হলুদ দেশের অর্থনীতিতেও ব্যাপক অবদান রাখছে।

অন্যদিকে, ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় ঐতিহ্যগতভাবে দেশীয় পদ্ধতিতে হাতে তৈরি আখের চিনি দেশবিখ্যাত। এক্ষেত্রে আখচাষের জন্য উপজেলার বাকতা, রাধাকানাই, কালাদহ ও আছিম ইউনিয়ন উল্লেখযোগ্য। তবে, আখ থেকে লাল চিনি উৎপাদনে এগিয়ে রাধাকানাই ইউনিয়নের পলাশতলী গ্রাম। এক সময় এই গ্রামের প্রায় শতভাগ মানুষ লাল চিনি তৈরিতে জড়িত ছিল।

জানা গেছে, প্রায় ২০০ বছর যাবত পলাশতলী গ্রামের কৃষকরা নিজস্ব প্রযুক্তির সাহায্যে আখ থেকে লাল চিনি উৎপাদন করে আসছেন। কৃষকরা এক সময় গরু দিয়ে ঘানির মতো তৈরি করে আখ থেকে রস বের করতেন। এখন আধুনিকায়নের ছোঁয়া লাগায় ডিজেল-চালিত শ্যালো মেশিনের সাহায্যে আখ থেকে রস বের করে প্রক্রিয়াজাতকরণ করে লাল চিনি তৈরি করেন।

আখচাষীরা ফাল্গুন মাসে আখ কেটে বীজ খণ্ড সংগ্রহ করেন। এই মাসেই বীজতলায় রোপা আখের চারা তৈরি করেন। সেই চারা বৈশাখ মাসে বৃষ্টিপাতের সময় জমিতে রোপণ করেন। এসব এলাকায় বেশ বৃষ্টি হওয়ায় আখচাষে সেচের প্রয়োজন হয় না। নিয়মিত নিড়ানি দিয়ে ৯ থেকে ১০ মাসে পরিপক্ক আখ হয়। আমন ধান কাটার পর পৌষ-মাঘ-ফাল্গুন মাসে আখ থেকে লাল চিনি তৈরির কাজ শুরু করেন।

প্রথমে আখ কেটে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত মাড়াই কলের সাহায্যে তা থেকে রস বের করা হয়। তার পাশেই তৈরি করা হয় জ্বাল ঘর। সেখানে তৈরি করা হয় ৭টি চুলা। জ্বাল ঘরের চুলায় ৭টি লোহার কড়াই বসানো হয়। তারপর প্রথম কড়াইয়ে পরিমাণমতো কাঁচা রস দিয়ে জ্বাল দেওয়া শুরু করা হয়। জ্বাল দেওয়ার আধা ঘণ্টা পর প্রথম কড়াই থেকে দ্বিতীয় কড়াইয়ে, তারপর তৃতীয় কড়াইয়ে এভাবে সপ্তম কড়াইয়ে জ্বাল দেওয়া রস নারিকেলের মালাইয়ের হাতা দিয়ে স্থানান্তর করা হয়।

সপ্তম কড়াইয়ে রস দিয়ে তা পরিষ্কার করার জন্য শিমুল গাছের কচি ডালের রস ব্যবহার করা হয়। কড়াইয়ে শিমুলের রস দেওয়ার কিছুক্ষণ পর আখের রস থেকে কালো ময়লা আলাদা হয়ে কড়াইয়ের ওপর ভেসে ওঠে। সেই ময়লা হাতল দিয়ে আলাদা করা হলে আখের রস পরিষ্কার হয়ে যায়। পরে আরও কিছুক্ষণ জ্বাল দিলে তা ঘন হয়ে ওঠে। ঘন রস চুলা থেকে নামিয়ে কাঠের তৈরি মুগুর দিয়ে বারবার ঘর্ষণ করে দানাদার বাদামি রঙের লাল চিনি তৈরি করা হয় এবং তা রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়।

শত বছরের গ্রামীণ চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতিতে উৎপাদিত লাল চিনি ও হলুদের দেশীয়-আন্তর্জাতিক বাজার বিকাশ এবং এই এলাকার ব্র‍্যান্ডিং করার ক্ষেত্রে পণ্য দুটির ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) স্বীকৃতি আবশ্যক।

ফুলবাড়ীয়ার নবনির্বাচিত সাংসদ আলহাজ্ব আব্দুল মালেক সরকার একজন সংস্কৃতিসচেতন ও উদ্যমী নেতা। এই জনপদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় ফুলবাড়ীয়ার লাল চিনি ও হলুদের জিআই স্বীকৃতি আদায়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করি।

লেখক: উদ্যোক্তা ও সংগঠক (ইমেইল: contact@mkawser.com)