ময়মনসিংহ: নেত্রকোনার আটপাড়ায় ধর্ষণ মামলা করায় এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও ছয় আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এর আগে ২১ জানুয়ারি দুইজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ নিয়ে এই মামলায় মোট আটজন গ্রেপ্তার হল।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে র্যাব তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন- আটপাড়া উপজেলার পালগাঁও গ্রামের মো. নূরুল হক (৩৮), মো. সম্রাট মিয়া (৫০), সামছুল হক (৪৫), একই গ্রামের মো. মাসুদ মিয়া (৩০), মো. হিমন মিয়া (৩০) ও মো. রোকন মিয়া (৩০)।
এর আগ গ্রেপ্তার দুইজন হলেন একই গ্রামের মো. অসীম (২৫) ও মো. রাজু মিয়া (২৩)।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ এর উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, পালগাঁও গ্রামের সেলিনা আক্তার ও তার স্বামী খোকন মিয়ার সঙ্গে অসীম, রাজু, মাসুদসহ কয়েকজনের জমির বিরোধ ছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিক মামলাও ছিল। গত ডিসেম্বরে সেলিনা তাদের পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা করেন।
এর জেরে ৩ জানুয়ারি রাতে অসীম ও রাজুসহ কয়েকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে সেলিনার বাড়ির দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। এরপর তারা সেলিনাকে উঠানে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় সেলিনাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করে। সেখানে ৪ জানুয়ারি ভোরে সেলিনা মারা যান।
এ ঘটনায় ৮ জানুয়ারি নিহতের ননদ বেদেনা আক্তার বাদী হয়ে অসীম ও রাজু, মাসুদসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ এর উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপন করে ছদ্মবেশে পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে আটপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’