ময়মনসিংহ: শেরপুরের নকলা-নালিতাবাড়ী ট্রাফিক জোনের সচেতনতামূলক ব্যাতিক্রমী উদ্যোগে শিশুকাল থকেই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাচ্ছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা।
নকলা-নালিতাবাড়ী ট্রাফিক জোনের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) উপজেলার গৌড়দ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে সকল শিক্ষার্থীদের একত্র করে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি ট্রাফিক সিগন্যাল ও ট্রাফিক চিহ্ন সমূহ প্রজেক্টরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেখিয়ে এসবের গুরুত্ব ও কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া শেরপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সরেজমিনে নিয়ে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপারের নিয়মাবলি শিক্ষা দেওয়া হয়। একই সাথে জেব্রা ক্রসিং না থাকলে কিভাবে রাস্তা পারাপার হতে হবে সরেজমিনে তাও শিক্ষা দেওয়া হয়।
সার্জেন্ট (ভারপ্রাপ্ত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর) সালমান খান রাজনের নেতৃত্বে এই সচেতনতা মূলক কাজে এসআই আতিকুর রহমান ও কনস্টেবল মোফাজ্জল খান সহযোগিতা করেন।
এসময় গৌড়দ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষকরা, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে সার্জেন্ট সালমান খান রাজন জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্য বইয়ের সিলেবাসে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া আছে। তবে ডিআইজি ও শেরপুর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে সচেতনতা মূলক এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি ট্রাফিক সিগন্যাল ও ট্রাফিক চিহ্ন সমূহ প্রজেক্টরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেখানো হবে। একই সাথে এসবের গুরুত্ব ও কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সরেজমিনে নিয়ে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে ও জেব্রা ক্রসিং ছাড়া রাস্তা পারাপারের নিয়মাবলি শিক্ষা দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন জানান, বাংলাদেশ পুলিশের প্রসংশনীয় উদ্যোগগুলোর মধ্যে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া, ট্রাফিক সিগন্যাল ও ট্রাফিক চিহ্ন সমূহের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এসবের কাজ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, সরেজমিনে রাস্তা পারাপারের নিয়মাবলি শিক্ষা দেওয়া নিঃসন্দেহে মহৎ উদ্যোগ। এতে করে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীর প্রাণ হারানোর ঝুঁকি অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন তিনি।