ময়মনসিংহ: জামালপুরের বকশীগঞ্জে জুয়ারিদের আস্তানায় একের পর এক অভিযান চালাচ্ছে জেলা গোয়েন্দা শাখা-২ এর সদস্যরা। জুয়ারিদের কোন ছকই যেন কাজে আসছে না এবার। দফায় দফায় গ্রেপ্তার অভিযানে লন্ডভন্ড হচ্ছে জুয়ারিদের ছক। জুয়া খেলা শুন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে উঠেপড়ে লেগেছে জেলা ডিবি-২ এর সদস্যরা।
আর এতে করে প্রভাবশালী জুয়ারিরাও পার পাচ্ছেন না। জুয়ায় মদদদাতা হিসেবে যারা রয়েছেন তাদেরও ধরাশয়ী করতে মাঠে নেমেছেন ডিবি-২ শাখা।
জানা গেছে, বকশীগঞ্জ , দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়েছে জেলা ডিবি-২ শাখা।
গত ৫ ডিসেম্বর থেকে এই তিন উপজেলায় পুরোদুস্তরে মাঠে নেমেছে ডিবি-২ শাখার সদস্যরা। জামালপুর জেলা পুলিশের পরিদর্শক মো. সোহেল রানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিবি-২ শাখার ওসি হিসেবে। আর এতেই দৌঁড়ের ওপর রয়েছে অপরাধীরা। বিশেষ করে বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলা জুয়া মুক্ত করতে তিনি সহ তার টিম দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
গত এক মাসে ডিবি-২ শাখার অভিযানে ৬১ জন জুয়ারিকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। ওসি মো. সোহেল রানার নেতৃত্বে কয়েকজন চৌকস কর্মকর্তা রয়েছে তার সঙ্গে। জুয়ারিরা ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেও যেন হালে পানি পাচ্ছেন না। বার বার স্থান বদল করে জুয়া খেলার আয়োজন করা হলেও সেখানেই হানা দেওয়া হচ্ছে।
ডিবি-২ শাখার সদস্যরা জুয়া মুক্ত জনপদ বিনির্মানে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে ডিবির-২ এর ওসি মো. সোহেল রানার দাবি ,জামালপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানের সার্বিক দিকনির্দেশনায় জুয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামা হয়েছে। তার কঠোরতার কারণেই আমরা পুরোদমে মাঠে নেমেছি। ওসি সোহেল রানা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই জনপদে হয় জুয়ারি থাকবে না হয় আমরা থাকব। তবে তিনি ডিবি-২ কে জুয়ারিদের সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন সাধারণ জনগণের প্রতি।
ডিবি-২ শাখা যেভাবে জুয়ার বিরুদ্ধে একের পর অভিযান চালাচ্ছে তেমনি মাদকের বিরুদ্ধেও অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন সুশীল সমাজ।