ময়মনসিংহ ১১:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ফলোআপ

দুই কারণে গফরগাঁওয়ে বিএনপি নেতা হত্যা, ধারণা পুলিশের

ফাইল ছবি

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পাইথল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও হোমিও চিকিৎসক হারুন অর রশিদকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুটি কারণ রয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।

এর একটি হচ্ছে, প্রতিবেশীর বাসায় হারুন অর রশিদের আসা-যাওয়া নিয়ে রুবেল ঈর্ষান্বিত ছিলেন। অন্যটি পরিবারের সঙ্গে পূর্ববিরোধের জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। দুটি বিষয়ই গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে হারুন অর রশিদকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ছেলে ফেরদৌস আহম্মেদ দীপ্ত (২৬) বাদী হয়ে রুবেল মিয়াকে আসামি করে গতকাল সোমবার রাতেই পাগলা থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে, প্রাথমিক তদন্তে নিহত হারুন অর রশিদের সঙ্গে রুবেল মিয়ার নারীঘটিত বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। এ ছাড়া পূর্ববিরোধের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার পাইথল ইউনয়নের গয়েশপুর বাজারে হারুন অর রশিদ নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পাশে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় রুবেল রামদা নিয়ে জনসমক্ষে হারুন অর রশিদকে ধাওয়া করে বাজারের পাশেই এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা রুবেলের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় নিহতের স্বজন ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে রুবেল ও তাঁর মা বিউটি আক্তার গুরুতর আহত হয়ে পুলিশ হেফাজতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযুক্ত রুবেল মিয়া একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক শাহাব উদ্দিনের ছেলে।

ফলোআপ

দুই কারণে গফরগাঁওয়ে বিএনপি নেতা হত্যা, ধারণা পুলিশের

প্রকাশের সময়: ০৫:৩৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পাইথল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও হোমিও চিকিৎসক হারুন অর রশিদকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুটি কারণ রয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।

এর একটি হচ্ছে, প্রতিবেশীর বাসায় হারুন অর রশিদের আসা-যাওয়া নিয়ে রুবেল ঈর্ষান্বিত ছিলেন। অন্যটি পরিবারের সঙ্গে পূর্ববিরোধের জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। দুটি বিষয়ই গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে হারুন অর রশিদকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ছেলে ফেরদৌস আহম্মেদ দীপ্ত (২৬) বাদী হয়ে রুবেল মিয়াকে আসামি করে গতকাল সোমবার রাতেই পাগলা থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে, প্রাথমিক তদন্তে নিহত হারুন অর রশিদের সঙ্গে রুবেল মিয়ার নারীঘটিত বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। এ ছাড়া পূর্ববিরোধের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার পাইথল ইউনয়নের গয়েশপুর বাজারে হারুন অর রশিদ নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পাশে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় রুবেল রামদা নিয়ে জনসমক্ষে হারুন অর রশিদকে ধাওয়া করে বাজারের পাশেই এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা রুবেলের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় নিহতের স্বজন ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে রুবেল ও তাঁর মা বিউটি আক্তার গুরুতর আহত হয়ে পুলিশ হেফাজতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযুক্ত রুবেল মিয়া একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক শাহাব উদ্দিনের ছেলে।