ময়মনসিংহ ১১:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামালপুর হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর চাপ বাড়ছে

টানা শীতে ঠান্ডা-কাঁশি শ্বাসকষ্টসহ ডায়রিয়া রোগীর চাপ সামলাতে হচ্ছে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকদের। ছবি: প্রতিদিনের ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ: টানা শীতে ঠান্ডা-কাঁশি শ্বাসকষ্টসহ ডায়রিয়া রোগীর চাপ সামলাতে হচ্ছে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকদের।

হাসপাতালের বহির্বিভাগেও রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। শুধু বহির্বিভাগেই প্রতিদিন গড়ে ১২শ’ রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা। আর হাসপাতালে ভর্তি আছেন আসন সংখ্যার চেয়ে দ্বিগুণ রোগী।

হাসপাতালের নার্সরা চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই রোগী রাড়ছে। এ কারণে তাদের বাড়তি চাপও সামলাতে হচ্ছে তাদের।

জামালপুরে তীব্র শীতের প্রভাব পড়েছে শিশু ও বষস্ক মানুষের মাঝে। টানা ৫ দিনে ঠান্ডাজনিত শ্বাসকষ্ট নিয়ে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭শ’ রোগী। তবে সবচেয়ে বেশি চাপ সামলাতে হচ্ছে শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা ও ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের।  

গত ৫ দিনে সবচেয়ে বেশি ৫২০ জন শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি ৪৫ জন শিশু। আর শিশু ওয়ার্ডে ১৩২ জন।

হাসপাতালের সিনিয়র নার্স মমতাজ জানান, শীত বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু রোগী চাপ বেড়েছে। রাত দিন তাদের সেবা দিতে হচ্ছে।

শিশুদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, শীতের কারণে শিশুদের শ্বাসকষ্ট ঠান্ডা বমি হচ্ছে। ৩/৪ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেক শিশু এখন কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠছেন।

সদর উপজেলার নান্দিনার খলিলুর রহমান বলেন, তার দেড় বছরের শিশু মারিয়া তীব্র শীতে ৪ দিন ধরে ঠান্ডায় আক্রান্ত। রাতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এখন গ্যাস দেয়া হচ্ছে। কিছুটা ভালো হয়েছে। ডাক্তার দেখে গেছে এখন কিছু বলেনি।

শহরের লাঙ্গলজোড়ার আলেয়া বেগম তার আড়াই বছরের ছেলে রাব্বি ঠান্ডায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। দুই হলো হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। ডাক্তাররা সেবা দিচ্ছে এখন আগের চেয়ে কিছু কমেছে।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, টানা ৫ দিনের তীব্র শীতের কারণে ঠান্ডা শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগীরা ভর্তি হচ্ছে। তাদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি।

তিনি বলেন, চিকিৎসার পাশাপাশি অভিভাবকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে শিশুদের গরম কাপড় পরিয়ে রাখার জন্য। যেন কোনোভাবেই ঠান্ডায় আক্রান্ত না হয়। শীতজনিত রোগীদের সেবা দিতে হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ আছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

শীতজনিত কারণে গত ৫ দিনে হাসপাতালে শিশুসহ ১৩ শ রোগী ভর্তি হয়েছে। আর বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ১২শ’ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।

বিষয়:

জামালপুর হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর চাপ বাড়ছে

প্রকাশের সময়: ০২:৩৬:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪

ময়মনসিংহ: টানা শীতে ঠান্ডা-কাঁশি শ্বাসকষ্টসহ ডায়রিয়া রোগীর চাপ সামলাতে হচ্ছে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকদের।

হাসপাতালের বহির্বিভাগেও রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। শুধু বহির্বিভাগেই প্রতিদিন গড়ে ১২শ’ রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা। আর হাসপাতালে ভর্তি আছেন আসন সংখ্যার চেয়ে দ্বিগুণ রোগী।

হাসপাতালের নার্সরা চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই রোগী রাড়ছে। এ কারণে তাদের বাড়তি চাপও সামলাতে হচ্ছে তাদের।

জামালপুরে তীব্র শীতের প্রভাব পড়েছে শিশু ও বষস্ক মানুষের মাঝে। টানা ৫ দিনে ঠান্ডাজনিত শ্বাসকষ্ট নিয়ে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭শ’ রোগী। তবে সবচেয়ে বেশি চাপ সামলাতে হচ্ছে শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা ও ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের।  

গত ৫ দিনে সবচেয়ে বেশি ৫২০ জন শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি ৪৫ জন শিশু। আর শিশু ওয়ার্ডে ১৩২ জন।

হাসপাতালের সিনিয়র নার্স মমতাজ জানান, শীত বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু রোগী চাপ বেড়েছে। রাত দিন তাদের সেবা দিতে হচ্ছে।

শিশুদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, শীতের কারণে শিশুদের শ্বাসকষ্ট ঠান্ডা বমি হচ্ছে। ৩/৪ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেক শিশু এখন কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠছেন।

সদর উপজেলার নান্দিনার খলিলুর রহমান বলেন, তার দেড় বছরের শিশু মারিয়া তীব্র শীতে ৪ দিন ধরে ঠান্ডায় আক্রান্ত। রাতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এখন গ্যাস দেয়া হচ্ছে। কিছুটা ভালো হয়েছে। ডাক্তার দেখে গেছে এখন কিছু বলেনি।

শহরের লাঙ্গলজোড়ার আলেয়া বেগম তার আড়াই বছরের ছেলে রাব্বি ঠান্ডায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। দুই হলো হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। ডাক্তাররা সেবা দিচ্ছে এখন আগের চেয়ে কিছু কমেছে।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, টানা ৫ দিনের তীব্র শীতের কারণে ঠান্ডা শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগীরা ভর্তি হচ্ছে। তাদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি।

তিনি বলেন, চিকিৎসার পাশাপাশি অভিভাবকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে শিশুদের গরম কাপড় পরিয়ে রাখার জন্য। যেন কোনোভাবেই ঠান্ডায় আক্রান্ত না হয়। শীতজনিত রোগীদের সেবা দিতে হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ আছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

শীতজনিত কারণে গত ৫ দিনে হাসপাতালে শিশুসহ ১৩ শ রোগী ভর্তি হয়েছে। আর বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ১২শ’ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।