ময়মনসিংহ ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শের আলী গাজীর মাজার

ছবি: প্রতিদিনের ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ: শের আলী গাজী ছিলেন শেরপুর পরগনার শেষ মুসলিম জমিদার। খ্রিষ্টিয় অষ্টাদশ শতাব্দীর সূচনায় দশকাহনীয়া বাজু’র জায়গীরদার হন ভাওয়াল গাজীর বংশধর শের আলী গাজী।

তখন শ্রীবরদী, দেওয়ানগঞ্জ , ইসলামপুর ও গড়জড়িপারের সম্মিলিত নাম ছিল শেরপুর। আর শেরপুর রাজ্যের রাজধানী ছিল গড়জড়িপা। এই খ্যাতিমান শাসক ২১ বছরকাল তার শাসনর্কায পরিচালনা করেন। কিংবদন্তী খ্যাত এই শাসকের নামেই জেলার নামকরন হয় শেরপুর।

নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁর বিচারে শের আলীর গাজীর জমিদারি বাতিল করে রামনাথ চোধুরীকে শেরপুর পরগনার জমিদারি দেয়া হয় ।

বর্তমান শেরপুর সদর উপজেলার গাজীর খামার ছিল শের আলীর গাজীর খামার বাড়ি। পরবর্তিতে তিনি গাজীর খামারে চলে আসেন এবং ইসলাম প্রচারে বেড়িয়ে পড়েন।

শের আলী গাজীর ইন্তেকালের পর তাকে গাজীর খামারের গীদদা পাড়া ফকির বাড়িতে সমাহিত করা হয়। এ স্থানটিই পরবর্তীতে শের আলী গাজীর মাজার হিসেবে পরিচিত লাভ করে। সে থেকেই প্রতিবছর ১ ফাল্গুন তার মাজারে ওরশ পালন করে আসছেন স্থানীয়রা। সেসঙ্গে মাজার প্রাঙ্গনে বসে জমজমাট গ্রামীণ মেলা।

ওরশ ও মেলায় জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মাজার ভক্ত পাগল, আশেকান এবং নানা ধরনের মানতকারী জন সাধারণ ভীড় করেন ।

নকলা উপজেলার পুর্বদিকে রুনী গাঁয়ে শের আলী গাজীর একটি দরগা ছিল। বর্তমানে এটি গাজীর দরগা হিসেবে পরিচিত।

শের আলী গাজীর মাজার

প্রকাশের সময়: ০৩:৩৩:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪

ময়মনসিংহ: শের আলী গাজী ছিলেন শেরপুর পরগনার শেষ মুসলিম জমিদার। খ্রিষ্টিয় অষ্টাদশ শতাব্দীর সূচনায় দশকাহনীয়া বাজু’র জায়গীরদার হন ভাওয়াল গাজীর বংশধর শের আলী গাজী।

তখন শ্রীবরদী, দেওয়ানগঞ্জ , ইসলামপুর ও গড়জড়িপারের সম্মিলিত নাম ছিল শেরপুর। আর শেরপুর রাজ্যের রাজধানী ছিল গড়জড়িপা। এই খ্যাতিমান শাসক ২১ বছরকাল তার শাসনর্কায পরিচালনা করেন। কিংবদন্তী খ্যাত এই শাসকের নামেই জেলার নামকরন হয় শেরপুর।

নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁর বিচারে শের আলীর গাজীর জমিদারি বাতিল করে রামনাথ চোধুরীকে শেরপুর পরগনার জমিদারি দেয়া হয় ।

বর্তমান শেরপুর সদর উপজেলার গাজীর খামার ছিল শের আলীর গাজীর খামার বাড়ি। পরবর্তিতে তিনি গাজীর খামারে চলে আসেন এবং ইসলাম প্রচারে বেড়িয়ে পড়েন।

শের আলী গাজীর ইন্তেকালের পর তাকে গাজীর খামারের গীদদা পাড়া ফকির বাড়িতে সমাহিত করা হয়। এ স্থানটিই পরবর্তীতে শের আলী গাজীর মাজার হিসেবে পরিচিত লাভ করে। সে থেকেই প্রতিবছর ১ ফাল্গুন তার মাজারে ওরশ পালন করে আসছেন স্থানীয়রা। সেসঙ্গে মাজার প্রাঙ্গনে বসে জমজমাট গ্রামীণ মেলা।

ওরশ ও মেলায় জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মাজার ভক্ত পাগল, আশেকান এবং নানা ধরনের মানতকারী জন সাধারণ ভীড় করেন ।

নকলা উপজেলার পুর্বদিকে রুনী গাঁয়ে শের আলী গাজীর একটি দরগা ছিল। বর্তমানে এটি গাজীর দরগা হিসেবে পরিচিত।