ময়মনসিংহ ১১:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হালুয়াঘাটে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্তে বন্য হাতির আক্রমণে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী সদর ইউনিয়নের পূর্ব গোবরাকুড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত কামরুল ইসলাম (৪০) একই এলাকার আলী আকবরের ছেলে। পরিবারের আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁর লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুল হক জানান।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, গতকাল রাতে ৪০-৫০টি বন্য হাতি গোবরাকুড়া সীমান্ত দিয়ে লোকালয়ে চলে আসে। তারা পাহাড়ি ঢালে কৃষকদের রোপণ করা বোরো ধানের বীজতলায় তাণ্ডব চালায়। বীজতলা রক্ষায় কৃষকেরা ও এলাকার লোকজন লাঠি, মশাল, পটকা ফুটিয়ে হাতির দলকে তাড়ানোর জন্য ধাওয়া করে। একপর্যায়ে কামরুল পড়ে যান। তখন কয়েকটি হাতি কামরুলকে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে পিষ্ট করে জখম করে। স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিলে হাতির দল পাহাড়ে দিকে সরে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। 

গত এক বছরে সীমান্তে ফসল রক্ষা করতে গিয়ে হাতির পৃষ্টে প্রাণ হারালেন ছয়জন। এ ছাড়া হাতি তাড়ানোর ফাঁদে মারা গেছেন দুজন। তবে এত মৃত্যুর পরেও হাতির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় বন বিভাগের থেকে নেওয়া হয়নি কার্যকর উদ্যোগ। কৃষকেরা দাবি জানান, হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে সংশ্লিষ্টদের। 

জানতে চাইলে হালুয়াঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকরামুল হাসান খসরু বলেন, ‘গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে কামরুল স্থানীয়দের সঙ্গে হাতি তাড়াতে যান। এ সময় হাতির পৃষ্টে জখম হন তিনি। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান কামরুল।’ 

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের গোপালপুর বিট কর্মকর্তা ওয়ালিদ জানান, নিহত কৃষকের পরিবারকে বন বিভাগের কাছে আবেদন করতে বলা হয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বন বিভাগ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হবে।

হালুয়াঘাটে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশের সময়: ০৩:১৭:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্তে বন্য হাতির আক্রমণে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী সদর ইউনিয়নের পূর্ব গোবরাকুড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত কামরুল ইসলাম (৪০) একই এলাকার আলী আকবরের ছেলে। পরিবারের আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁর লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুল হক জানান।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, গতকাল রাতে ৪০-৫০টি বন্য হাতি গোবরাকুড়া সীমান্ত দিয়ে লোকালয়ে চলে আসে। তারা পাহাড়ি ঢালে কৃষকদের রোপণ করা বোরো ধানের বীজতলায় তাণ্ডব চালায়। বীজতলা রক্ষায় কৃষকেরা ও এলাকার লোকজন লাঠি, মশাল, পটকা ফুটিয়ে হাতির দলকে তাড়ানোর জন্য ধাওয়া করে। একপর্যায়ে কামরুল পড়ে যান। তখন কয়েকটি হাতি কামরুলকে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে পিষ্ট করে জখম করে। স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিলে হাতির দল পাহাড়ে দিকে সরে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। 

গত এক বছরে সীমান্তে ফসল রক্ষা করতে গিয়ে হাতির পৃষ্টে প্রাণ হারালেন ছয়জন। এ ছাড়া হাতি তাড়ানোর ফাঁদে মারা গেছেন দুজন। তবে এত মৃত্যুর পরেও হাতির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় বন বিভাগের থেকে নেওয়া হয়নি কার্যকর উদ্যোগ। কৃষকেরা দাবি জানান, হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে সংশ্লিষ্টদের। 

জানতে চাইলে হালুয়াঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকরামুল হাসান খসরু বলেন, ‘গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে কামরুল স্থানীয়দের সঙ্গে হাতি তাড়াতে যান। এ সময় হাতির পৃষ্টে জখম হন তিনি। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান কামরুল।’ 

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের গোপালপুর বিট কর্মকর্তা ওয়ালিদ জানান, নিহত কৃষকের পরিবারকে বন বিভাগের কাছে আবেদন করতে বলা হয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বন বিভাগ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হবে।