ময়মনসিংহ: শেরপুরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুর জেলা শহরের খরমপুরে অবিস্থিত সূর্যের হাসি ক্লিনিকে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় শেরপুর সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ দিয়েছে নবজাতক শিশুটির পিতা মতিউর রহমান। মতিউর রহমান শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার গোপালখিলা গ্রামের সামছুল হকের ছেলে। ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সিভিল সার্জন।
অভিযোগে জানা যায়, মতিউর রহমানের স্ত্রী মনিকা বেগমের প্রসব ব্যাথা শুরু হলে ৪ ডিসেম্বর সোমবার সকালে শেরপুর সূর্যের হাসি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই দুপুর বারোটায় সিজারে একটি ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহন করে। জন্মের তিনদিন পর বুধবার সন্ধায় বাচ্চার শ্বাস প্রশ্বাসের সম্যসা দেখা দেয়।
অভিযোগে আরো জানা যায়, বাচ্চা অসুস্থ্য হওয়ার পর স্বজনরা শেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেয় ক্লিনিকের ম্যানেজার এবং নার্সরা। তারা বলেন এখন ডাক্তার নেই সকালে ডাক্তার আসলে তার অনুমতি নিয়ে বাচ্চাকে অন্য হাসপাতালে নেওয়া যাবে। সকালে ডাক্তার আসলে অন্য হাসপাতালে ছাড়পত্র দেওয়ার পর শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে যায় স্বজনরা কিন্তু শেরপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষনা করে।
শিশুটির পিতা মতিউর রহমান বলেন, আমার বাচ্চা ভুমিষ্ট হওয়ার পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খায়নি। এ ব্যাপারে ক্লিনিক কোন চিকিৎসা দেয়নি শিশুটির। ডাক্তার বলেছেন ঠিক হয়ে যাবে। আজ আমার বাচ্চাটা মারা গেল। আমি এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
সুর্যের হাসি ক্লিনিকের মেডিকেল অফিসার মন্জুরা আক্তার শিমু বলেন, আমার ডিউটি সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাচটা পর্যন্ত। আজ সকালে (বৃহস্পতিবার) শিশুটির অবস্থা খারাপ দেখে শেরপুর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করি। ক্লিনিকে আরেকজন ডাক্তার প্রয়োজন ছিলো কিন্তু কতৃপক্ষ তা করেনি এবং হাসপাতাল কতৃপক্ষ যদি গতকাল(বুধবার) রাতে শিশুটির অবস্থা খারাপ আমাকে জানাতো তাহলে আমি ক্লিনিকে আসতাম কিন্তু আমাকে জানানো হয়নি।
ক্লিনিকের ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তাদের অভিযোগ সত্য নয়। রাতেই শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়েছিলো কিন্তু তারা নিয়ে যায়নি।
শেরপুর সিভিল সার্জন অনুপম ভট্টচার্য বলেন, সূর্যের হাসি ক্লিনিকে নবজাতক মারা যাওয়ার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এবিষয়ে ডা. মোবারক হোসেনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হবে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।